cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সংস্কৃতি বলতে আমরা সাধারণত বুঝি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনাচরণের অভিজ্ঞতার নির্যাস। বৈশাখের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। ইসলাম ও মুসলমানদের সঙ্গে প্রকৃত অর্থে বৈশাখী সংস্কৃতির কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই। বৈশাখের সংস্কৃতি হচ্ছে বর্ষবরণের আনন্দের সংস্কৃতি। আর সেই আনন্দের উৎস হচ্ছে গ্রামবাংলার কৃষকের হাসি-আনন্দ ও আশা-আকাঙ্ক্ষা। পয়লা বৈশাখ তাই আমাদের উৎসবের দিন। এই উৎসবে বাংলার হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোকেরাই নিজ নিজ ঐতিহ্যানুসারে বরণ করে নতুন বছরকে। ঘরে ঘরে রান্না হয় নবান্ন, পিঠাপুলি।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে সিলেটে সাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত বৈশাখী সাহিত্যআড্ডায় অংশ নিয়ে আলোচকগণ এসব কথা বলেন।
গত ১৪ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর তালতলাস্থ সৃজনশীল প্রকাশনাসংস্থা পাপড়ি কার্যালয়ে সিলেট সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি কবি আমিনুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাহিত্যআড্ডায় আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক জাহেদুর রহমান চৌধুরী, গল্পকার কানিজ আমিনা কুদ্দুস, কবি মাহফুজ জোহা, ছড়াকার ও চিত্রশিল্পী কবির আশরাফ, কবি আজমল আহমদ, প্রাবন্ধিক মাজহারুল ইসলাম জয়নাল, কবি ও বাচিকশিল্পী নাঈমুল ইসলাম গুলজার, কবি সোলেমান রাসেল, কবি ইউসুফ আল আজাদ, শিশুসাহিত্যিক আরাফাত মিহির, মিজানুর রহমান তাহসান ও ফাহিম আহমদ মিনহাজ প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আবহমান বাংলার চলমান সংস্কৃতির মিলনমেলার এই প্রস্ফুটিত বাগানে একটা সময় অনুপ্রবেশ করে ষড়যন্ত্রের কালো ছায়া, আধিপত্যবাদীদের করাল গ্রাস। নিজেদের ঘৃণ্য অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কলঙ্কিত করা হয় সর্বজনীন এ উৎসবধারাটিকে। ষড়যন্ত্রকারীরা হিন্দু ধর্মের লক্ষ্মী, কালী, পেঁচা, হনুমান ইত্যাদি আমদানি করে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে পুরো হিন্দুয়ানি রূপ দিতে চেষ্টা করে। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম দিয়ে মুছে দিতে চায় বৃহত্তর মুসলিম দেশের মুসলিম সংস্কৃতি। যার ফলে একটি সর্বজনীন উৎসবে দেখা দেয় সাম্প্রদায়িক রূপ, যা কারোর কাম্য হতে পারে না। এবার নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে পহেলা বৈশাখে বের করা মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে এই শোভাযাত্রা ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত হবে আগের মতো। পয়লা বৈশাখ সর্বজনীনভাবে আমরা উদযাপন করব নিজস্ব ঐতিহ্যিক ধারায়। আড্ডার শেষ পর্যায়ে সবাইকে মিষ্টি মুখ করান সিলেট সাহিত্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি