সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিসিকের সেই ড্রিলিং অ্যাসিস্ট্যান্টের অনিয়ম তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সিলেট সিটি করপোরেশন সিসিকের ড্রিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট জাহিদ আল ফাহিম কর্তৃক ব্যাংকের সিল ও সই জাল করে ‘ভুয়া’ নকশা অনুমোদনের বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

এর আগে গত ৩ মার্চ বিষয়টি নিয়ে ‘ড্রিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাহিমকাণ্ডে সিসিকে তোলপাড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নতুন সিলেট টেয়োন্টিফোর ডটকম।

এ সংবাদ প্রকাশের পর সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ঘটনার তদন্তে সিসিক সচিব মো. আশিক নূরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান; সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস; শিক্ষা, সংস্কৃতি, পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ। সহকারী প্রকৌশলী পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে এ কমিটিতে।

এ কমিটিকে স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্তকাজ শেষ করে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে মেয়র বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে কমিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অন্য কোনো সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবেন, এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাহিদ আল ফাহিম তার মামা জুনেল আহমদের সুবাদে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীকে ধরে নগর ভবনে কার্যসহকারী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি নেন। ২০১৯ সালে এ যোগদানের পর ফাহিম ড্রিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পূর্ত শাখায় নগর ভবনে আসা সেবা গ্রহীতাদের ভবনের ফাইল অনুমোদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তার মামা জুনেল আহমদের সুবাদে অসংখ্য ফাইল অনুমোদন করিয়ে নেন। যেগুলোর ব্যাংক চালান ও টিউবওয়েলের রশিদ জাল করে গ্রাহকদের ধোঁকা দেন। এসব রশিদের তিনটি ফর্দ থাকলেও ফাহিম কেবল একটি ফর্দ গ্রাহকদের ধরিয়ে দিতেন।

এসব অভিযোগ প্রমাণ হলে পালিয়ে যান জাহিদ আল ফাহিম। ব্যাংক রশিদে স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে তিনি রাজস্বের প্রায় কোটি টাকা লুটপাট করেন। এ ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অনিয়মে জড়িত থাকার পরও সিসিকের ড্রিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট জাহিদ আল ফাহিমকে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক আইনের আওতায় না নিয়ে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ফাহিম পলাতক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: