cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কানাইঘাটের অর্ধশত কোটি টাকার পাথর নিয়ে জমে উঠেছে নাট’কী’য়তা। জ’ব্দ করা ওই পাথর বিক্রি করতে খনিজ উন্নয়ন ব্যুরো-বিএমডি থেকে সিলেটের জে’লা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হলেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ কারণে সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটি ফুট পাথর জ’ব্দ করার পর তারা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সর্বশেষ নিজাম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও তাকে কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। এ কারণে প্রায় ১৩ মাস ধরে ওই পাথর নিয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এই অবস্থায় জ’ব্দকৃত পাথরের এক তৃতীয়াংশ চু’রি ও নদীগর্ভে চলে গেছে বলে দাবি করেন তারা। সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর লো’ভাছড়া পাথর কোয়ারি গত বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লিজে ছিল।
ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগে কানাইঘাট ও সিলেটের প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী ওই উত্তোলিত পাথর ক্রয় করে নদীর তীরে ডাম্পিং করে রেখেছিলেন। ব্যবসায়ীরা কোয়ারির ইজারাদারের কাছ থেকে ৪৮ টাকা ফুট দরে ওই পাথর ক্রয় করেছিলেন। ডাম্পিং করার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের যু’ক্তি ছিল; শুষ্ক মৌসুমে উত্তোলিত পাথর ক্রয় করার কারণে সড়ক পথে যোগাযোগ না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নদীপথে ওই পাথর পরিবহন করতে হয়। কিন্তু মা’র্চ মাসের শেষদিক থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় ইজারাদারের মেয়াদের মধ্যে পাথর পরিবহন করা সম্ভব হয়নি। ওদিকে গত বছরের এপ্রিলে ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাথরগুলো নদী তীরবর্তী স্থানে ডাম্পিং করার কারণে আইন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর জে’লা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ওই এলাকায় অ’ভিযান চালায়। অ’ভিযানকালে তারা কয়েকশ’ স্টোন ক্রাশারধ্বং,স করা ছাড়াও প্রায় ১ কোটি ফুট পাথর জ’ব্দ করেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান। জ’ব্দ করায় পাথর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা আ’ন্দোলন শুরু করেন। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কানাইঘাট। এই অবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেই ওই পাথরগুলো নিলামে বিক্রির জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। ওই বছরের ১৯শে জুলাই প্রথম টেন্ডারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নজরুল ইস’লাম ট্যাক্স, ভ্যাট সহ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের পাথর কিনতে নিলামে অংশ নেন। এর দু’দিন পর ফের টেন্ডার আহ্বান করা হলে সর্বোচ্চ দর উঠে ১১ কোটি টাকা।
টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী নজরুল ইস’লাম জানিয়েছেন, প্রথম টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ার পর তাকে সমঝে না দিয়ে ফের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় টেন্ডারে দর কম হওয়ার কারণে অযৌক্তিকভাবে তাকে জো’রপূর্বক প্রথম টেন্ডার সমঝে দেয়ার প্রক্রিয়া চালানো হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপরও তার ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা পে-অর্ডার রিটার্ন না দেয়ায় তিনি আ’দালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে এই অবস্থায় গত বছরের আগস্ট মাসে ওই পাথর বিক্রি করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ফের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ওই টেন্ডারে ব্যবসায়ীদের পক্ষে নিজাম উদ্দিন অংশ নিয়ে ট্যাক্স, ভ্যাট সহ ১৬ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হন। নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তাকে কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। তার পে-অর্ডার আ’ট’কে রাখায় তিনিও আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) সূত্র জানিয়েছে, কানাইঘাটের জ’ব্দ করা পাথর নিলামে বিক্রি করার পক্ষে সরকার। এ কারণে বিএমডি ও জ্বালানি বিভাগ থেকে সিলেটের জে’লা প্রশাসককে বার বার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তুসংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই পাথর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এতে সিলেটের প্রশাসনের অসহযোগিতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান। বর্তমানে লো’ভাছড়া এলাকায় আদৌ পাথর আছে কিনা সেই বিষয়ে ত’দন্ত করতে জ্বালানি বিভাগ থেকে বিএমডিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
লো’ভাছড়া পাথর কোয়ারির সাবেক ইজারাদার মোস্তাক আহম’দ পলা’শ গতকাল বিকালে জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটি ফুট পাথর ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেছিলেন। পরিবহনের আগেই লকডাউন শুরু হয়। এরপর পাথর পরিবহন আ’ট’কে যায়। কিন্তু প্রশাসন ব্যবসায়ীদের কেনা পাথর জ’ব্দ করে ফেলে। পরে ব্যবসায়ীরা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও তাদের কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। তিনি দাবি করেন, লো’ভাছড়ায় জ’ব্দ করার সময় যে পরিমাণ পাথর ছিল সেই পরিমাণ পাথর এখন আর নেই। প্রায় ৪০ ভাগ পাথর চু’রি করা হয়েছে। নানা ভাবে এই পাথরগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কার পাথর কে সরিয়ে নিয়েছে সেটি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। এদিকে লো’ভাছড়া আদর্শ পাথর বহু’মুখী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সিলেট ও কানাইঘাটের প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণ ও বিনিয়োগের সর্বশেষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। এরপর পাথর জ’ব্দ করার পর বহু ব্যবসায়ী লোকসানে পড়েছেন। একজন ব্যবসায়ী হার্ট অ্যাটাকে মা’রাও গেছেন।
তিনি বলেন, পাথর নিলামে তোলার পর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অংশ নেয়া হলেও কার্যাদেশ দেয়া হয়নি। আসলে পাথর নিয়ে প্রশাসন কী’ করতে চাইছে সেটি এখনো বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানান তিনি। সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইম’রান হোসেন জানিয়েছেন, ‘জ’ব্দ করা পাথর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে আ’দালতে একাধিক মা’মলা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। জটিলতার কারণে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ সূত্র: মানবজমিন