সর্বশেষ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

জৈন্তাপুরে নদী পথে ভেঁসে আসছে ভারতীয় পণ্য

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজে’লা সীমান্তে স্থল পথের পাশাপাশি নদীপথে ভেঁসে আসছে ভা’রতীয় পণ্য। সংশ্লিষ্ট বাহিনী তৎপরতার কারণে চেরাকারবারীরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে।

সরেজমিনে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজে’লার সীমান্ত ঘুরে দেখাযায়, স্থল পথের পাশা-পাশি চো’রকারবারী চক্রের সদস্যরা নদী পথ ব্যবহার করে ভা’রত হতে নিয়ে আসছে নানা রকমের পণ্য সামগ্রী। নিরাপদ রুট হিসাবে কৌশলে নদী পথ ব্যবহার করা হয়।

উপজে’লার যে সকল নদীপথ গুলো চো’রাকারবারীরা ব্যবহার করে সেগুলো হল খাঁসি, খোয়াই, রাংপানি, ছাগল খাউরী, কলসী, নয়াগাং, কা’টাগাং, বড়নয়াগাং ও সারী নদী। এসকল নদীর উৎসমূখ ভা’রত সীমান্তে থাকায় বর্ষার মৌসুমে চেরাকারবারীরা দিন-রাত ভা’রত হতে নদী পথে অ’ভিনব কায়দায় সব্জী সহ গাড়ীর টায়ার টিউব, মা’দক সামগ্রী চালি বেঁধে নদীর পানিতে ভাঁসিয়ে আনা হয়।

চো’রাকারবারী দলের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার কঠোর শর্তে ছবি ভিডিও করার সুযোগ দিয়ে বলেন, আম’রা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে জল কিংবা স্থল পথে পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসি। এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের পর তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না, ব্যবসায়ী কিংবা ক্যারিয়ারদের।

তারা আরও বলেন, পণ্যের মালিকের সাথে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সংখ্যাক মনোনিত সোর্সম্যান রয়েছে। তাদের সাথে নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে আম’রা পণ্য প্রবেশ করে। পণ্য খালাসে ভা’রত সীমান্তে অংশে প্রবেশের কালে আমাদের ঝুঁ’কি বেশি। যে কোন সময় বিএসএফ হানাদেয় তখন জীবন বাজি রেখে পণ্য নিয়ে আসি। অনেক সময় পণ্য ফেলে এলোপাতাড়ী দৌড়ে বাংলাতে ফিরতে হয়।

বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন হতে আমাদের কয়েকটি গ্রুপ নদী পথে ভা’রত হতে সুপারী, সাতকরা, টমেটো, গাড়ীর টায়ার, কসমেট্রিক্স সামগ্রী, ঔষধ, মেডিকেল সামগ্রী, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট ও নাছির বিড়ি নিয়ে আসি।

বিভিন্ন সময়ে এসব পণ্য স্থল পথে আনা হয়। তবে স্থল পথের তুলনায় নদী (জল) পথ সবচেয়ে নিরাপদ।

১৯ বিজিবি’র এফএস রেজাউল করিম সাথে ফোনালাপে তিনি বলেন, বিজিবি অ’ভিযান অব্যাহত রয়েছে। জৈন্তাপুর ক্যাম্পের সদস্যরা রাতে অ’ভিযান চালিয়ে ৮ ক্যারেট ভা’রতীয় টমেটো আ’ট’ক করে। সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে শতভাগ সফল হওয়া যাবে না। তবে নদী পথের বিষয়টি আম’রা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখব। সীমান্ত চো’রাচালনা মুক্ত রাখতে সচেতন মহল এগিয়ে আসতে হবে।

জৈন্তাপুর মডেল থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) গো’লাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, চো’রাচালান রোধে থা’না পু’লিশ নিয়মিত অ’ভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: