আসন্ন হযরত শাহজালাল (রাহ.) ওরসকে ঘিরে মাজার প্রাঙ্গণে সকল প্রকার অশ্লীলতা, অসামাজিকতা ও অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে তিন দফা দাবি জানিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ‘শাহজালাল (রাহ.) তাওহিদি কাফেলা’।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কার্যালয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় এক বৈঠকে তারা ওরসে শাহজালাল মাজার প্রাঙ্গণে অশ্লীলতা, গান-বাজনা, মাদকাসক্তদের আসর ও সাজদাসহ সব ধরনের অপকর্ম বন্ধে দাবি জানান এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য ইবাদত-জিয়ারতের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

কাফেলার নেতারা বলেন, হযরত শাহজালাল (রাহ.) সিলেটে এসেছিলেন তাওহিদের দাওয়াত নিয়ে। তাঁর নামেই প্রতি বছর আয়োজিত ওরসে এখন চলে নানা অপসংস্কৃতি ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এসব কাজ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে এসব প্রতিহত করা হবে।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক শাহজালাল মাজারের পবিত্রতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ‘শাহজালাল (রাহ.) তাওহিদি কাফেলা’র উপদেষ্টা নুমানী চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক দরগাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আসজাদ আহমদ, শামীমাবাদ মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, যুগ্ম সদস্যসচিব মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ খাসদবিরি, মাওলানা হাফেজ শিব্বির আহমদ, মুফতি মুহিউদ্দিন ও মাওলানা মনসুর আহমদ প্রমুখ।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সিলেটের জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়ায় এক বৈঠকে ওরসকে ঘিরে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় তাওহিদি কাফেলা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—গণসংযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রদান এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়।

নেতৃবৃন্দ জানান, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ধর্মপ্রাণ জনতার দাবিতে সাপ্তাহিক ওরসে গান-বাজনা ও মাদকসেবন বন্ধ হয়েছিল। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। মাজার কর্তৃপক্ষকে জনসাধারণের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিরিবিলি পরিবেশে জিয়ারতের ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।-বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল