cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে সিলেট নগরীতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি এবং জুতা ব্র্যান্ড বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে সিলেট শহরের মিরবক্সটুলা এলাকায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্ট এবং দরগা গেইট এলাকায় বাটার শোরুমে এ হামলার ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনে মিছিল নিয়ে আসলে উত্তেজিত কয়েকজন সেখানে হামলা চালান। তারা কেএফসির পিকআপ ভ্যানে থাকা কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে এবং গ্লাসে ঢিল ছুড়ে তা ভেঙে দেন। ভাঙচুরের পরপরই কেএফসি রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই মিছিল থেকে কিছু বিক্ষোভকারী দরগা গেইট এলাকায় বাটার শোরুমে হামলা চালিয়ে গ্লাস ভাঙচুর করেন। এতে দোকানকর্মীরা ভয়ে বাইরে চলে যান।
একই সময় দর্শন দেউড়ি এলাকায় ইউনিমার্ট সুপারস্টোরেও হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সেখানে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কেএফসিতে ইসরায়েলি কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে এবং বাটাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি পণ্য সরবরাহে যুক্ত। তারা বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বর হামলার জন্য দায়ী ইসরায়েলি কোনো পণ্য কিংবা প্রতিষ্ঠান বাংলার মাটিতে টিকে থাকতে পারবে না।”
সকাল থেকেই সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ মিছিল। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ছিল।
এছাড়া বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া, নার্সিং কলেজ, মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-জনতা, তৌহিদী জনতা ও বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের ব্যানারে শহরের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে, আমি কে, ফিলিস্তিনি ফিলিস্তিনি’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসরায়েলের বন্ধুরা হুঁশিয়ার’— এসব স্লোগানে নগরী মুখর করে তোলেন।
সিলেট মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।