cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তৃতীয় দফার এ বন্যায় ফের প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯১ ইউনিয়নের ১১৬০ গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে অতিবৃষ্টি এবং উজানের ঢলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এরই মধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে উঠে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, সুরমার পানি কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ; কুশিয়ারার পানি অমলশীদ, শেওলা, শেরপুর-সিলেট ও মারকুলিতে; মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে; সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় ও ভুগাইয়ের নাকুগাঁওয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পাঁচ জেলার (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, নেত্রকোনা ও শেরপুর) নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের সবক’টি উপজেলা আক্রান্ত হয়েছে।
বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পাঁচটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ১০ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এখানে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারার পানি অমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৭, শেওলা পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার এবং শেরপুরে ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কিছুটা কমেছে সারি, সারিগোয়াইন ও লোভা নদীর পানি। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা আগে থেকেই করা হচ্ছিল। যে কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে দির্দেশনা দেয়া হয়। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের।