cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহের কাজ। তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত সময় অনুযায়ী সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে বাড়িতে না গিয়েই, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি, এভাবে তথ্য সংগ্রহের ফলে নতুন ভোটারদের দীর্ঘসূত্রতার শিকার হতে হবে।
নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, এবার যারা ভোটার হয়েছেন, প্রায় সবাই স্বউদ্যোগে তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে গিয়ে নিবন্ধিত হয়েছেন। বাদ পড়াদের কেউ কেউ জানান, তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়িতে আসবেন—এই আশায় তারা যোগাযোগ করেননি।
সিলেটের রাজনৈতিক নেতারা অভিযোগ করেছেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, তাই তারা সরকারের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করেছেন না। নগরীর বেশির ভাগ এলাকায় তারা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ক্লাব অফিস কিংবা নির্দিষ্ট স্থানে বসে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, ফলে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় হয়েছে।
নগরীর কানিশাইল, লালাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, সবুজবাগ, বাদাঘাট, শেখঘাট, শাহী ঈদগাহসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তাদের এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা যাননি। শামীমাবাদ এলাকায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ক্লাব অফিসে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বলা হয়, যা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে জানান, অনেক বাসায় গিয়ে তারা তালাবদ্ধ দরজা পেয়েছেন বা দারোয়ান জানিয়ে দিয়েছেন যে নতুন ভোটার নেই। অনেকের কর্মস্থলে ছুটি না থাকায় কাজটি যথাযথভাবে করা সম্ভব হয়নি। ফলে তারা নির্দিষ্ট স্থানে বসে আশপাশের লোকজনকে ডেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কেউ তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের তলব করে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোটারদের ছবি তোলা শুরু হবে, তখনও ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই তাদের কাছে অভিযোগ আসছে যে, কেউ বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, এবার হালনাগাদ কার্যক্রমে পূর্বের মতো কোনো উৎসবমুখরতা দেখা যায়নি, যা হতাশাজনক।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, হালনাগাদ কার্যক্রম দায়সারাভাবে শেষ হয়েছে, ফলে মৃত ব্যক্তিরা বাদ পড়েননি, আবার নতুন অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। তিনি তথ্য সংগ্রহকারীদের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
১৮ বছর পূর্ণ হওয়া নাগরিকদের ভোটার করার লক্ষ্যে ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কর্মসূচি হাতে নেয় কমিশন। তবে কার্যক্রমে অনিয়মের কারণে এখনও অনেক ভোটার তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছবি তোলা ও চূড়ান্ত নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে, যা নতুন ভোটারদের জন্য শেষ সুযোগ হতে পারে।