cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
সিলেটের কৃতীসন্তান, সাবেক সচিব এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ভাষাসৈনিক ইনাম আহমেদ চৌধুরী আর নেই। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
ইনাম আহমেদ চৌধুরী প্রশাসন, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিকল্প গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৩৭ সালের ২৯ জুন সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জের বারোকোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করা ইনাম আহমেদ চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই মেধা ও নেতৃত্বের পরিচয় দেন। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
১৯৬০ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের ‘এস্কাপ’ কমিশনের সেক্রেটারি, আইডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সভাপতি এবং লন্ডনে অর্থনৈতিক মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর গ্রহণের পর তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় হন এবং ১৯৯৯ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ-চীন গণমৈত্রী সমিতির উপদেষ্টা, কমনওয়েলথ সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
একজন সুগভীর চিন্তাবিদ ও লেখক হিসেবে তিনি ‘চিরঞ্জীব জিয়া’, ‘ভাবনায় বাংলাদেশ’, ‘ছোটদের জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’সহ বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন।
তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর এক শোকবার্তায় বলেন, “ইনাম আহমেদ চৌধুরী একজন মেধাবী, সজ্জন ও পরোপকারী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”