cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
নদীভাঙন রোধে অস্থায়ী কাজে মৌলভীবাজারের চারটি নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫ বছরে ৬৪ কোটি টাকা জলে ঢেলেছে। ৬৪ কোটি টাকা বন্যা প্রতিরোধে জেলাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। বরং বিভিন্ন জায়গায় ইমার্জেন্সি বরাদ্দের নামে লুটপাট করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমন অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগ নামধারী ঠিকাদার ও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এদিকে জেলাবাসীকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে জেলার প্রধান মনু নদীতে ২০২১ সালে ৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প নেওয়া হলেও এ প্রকল্পও আলোর মুখ দেখেনি। ২০২৩ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৪৭ শতাংশ। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুদক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার চারটি নদীতে বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন জায়গায় ইমার্জেন্সি বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মনু নদীতে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার, ধলাই নদীতে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার ও জুড়ি নদীতে ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
এদিকে ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীন ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় প্রকল্পের (১ম পর্যায়) (২য় সংশোধিত) আওতায় মনু নদীতে ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার, ধলাই নদীতে ৩ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার, ফানাই নদীতে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৩৪ হাজার ও জুড়ী নদীতে ৩ কোটি ৭৬ হাজার টাকা এবং ওই নদীর হাওড় এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্পে ১২ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সমস্ত নদীতে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামকাওয়াস্তে কাজ করে বিল তুলে নেয়। এতে লাভবান হয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের বরাদ্দকৃত এই অর্থ মৌলভীবাজার জেলাবাসীর কোনো কাজে আসেনি। এদিকে মনু নদীতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান থাকার পরেও একাধিক জায়গায় ইমার্জেন্সি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জেলার সচেতন মহল বলছে, ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী মেগা প্রকল্প সমাপ্ত হলে বন্যা থেকে রক্ষা পেত জেলার কয়েক লাখ মানুষ। জেলার নদীগুলোতে সঠিকভাবে কাজ না হওয়া প্রতিবছরই পড়তে হয় বন্যার কবলে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন জেলাবাসী। একবারের বন্যায় ঘুরে দাঁড়ানোর পূর্বেই ফের দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও বরাদ্দের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। প্রতিবছর বন্যা হয় তাই স্থায়ীভাবে কাজ করারও সুযোগ হয় না। তবে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরির জন।