cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। এ উপলক্ষে জমে উঠেছে সিলেটের কোরবানির পশুর হাটগুলো। কাজিরবাজারের সবচেয়ে বড় হাটে ইতোমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বড় ও মাঝারি আকারের গরু, ছাগল, এমনকি নজরকাড়া মহিষও এসেছে। তবে আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় কিছুটা হতাশ ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৪ জুন) সরেজমিনে কাজিরবাজার হাট ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীবাজারের আরকে ডেইরি ফার্ম থেকে দুইটি দৃষ্টিনন্দন মহিষ নিয়ে এসেছেন খামার মালিক মোয়াজ্জেম আহমেদ। “ব্ল্যাক ডায়মন্ড” ও “পিংক ডায়মন্ড” নামের এই মহিষ দুটিকে ঘিরে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তিনি বলেন, “অনেকেই দাম করছেন, তবে এখনো ন্যায্য দাম পাচ্ছি না।”
দেশি গরুর চাহিদা থাকলেও দাম কিছুটা বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতারা। গরু কিনতে আসা রহিম চৌধুরী বলেন, “দেশি গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। দেখা যাক শেষ মুহূর্তে কিছু সমঝোতা হয় কি না।”
অন্যদিকে, হাটের একজন বিক্রেতা নবী হোসেন বলেন, “নেত্রকোনা থেকে গরু নিয়ে এসেছি, এখনো কোনো বিক্রি হয়নি। দামও কম বলছে সবাই।” স্থানীয় ব্যবসায়ী ময়না মিয়া জানান, “টাকার দরকারে ৫টি গরু এনেছি, ২ দিনে মাত্র একটি বিক্রি করতে পেরেছি।”
ছাগল বিক্রেতা শেরেনুর জানান, “এবার বাজারের শুরুতেই ছাগলের বিক্রি কম। সাধারণত আগে ছাগল বিক্রি হয়ে যায়, কিন্তু এবার সেটাও হচ্ছে না।”
এদিকে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত ৭টি অস্থায়ী হাটসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের ১০টি হাট পশু কেনাবেচার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এসব হাটেও পশু আসতে শুরু করেছে।
কাজিরবাজার হাটের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন লোলন বলেন, “শেষ সময়ে হাট জমে ওঠে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারকে কেন্দ্র করে মূলত বিক্রির আশা করি। এ বছর দামও তুলনামূলক কম। তবে অবৈধ হাট বসলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় ২০টি হাটের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে রয়েছে।”
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান বলেন, “জেলা প্রশাসন অনুমোদিত হাট ব্যতীত অন্য কোনো জায়গায় হাট বসতে দেয়া হবে না। অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। শেষ মুহূর্তে পশুর হাটগুলো ক্রেতায় পূর্ণ হবে এবং জমে উঠবে কোরবানির বাজার — এমনটাই আশা করছেন সিলেটের পশু ব্যবসায়ীরা।