cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে সিলেট অঞ্চল। ফুঁসছে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন ও ধলাইসহ প্রায় সব নদ-নদী। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সীমান্তবর্তী উপজেলার অনেক নিম্নাঞ্চল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ, যা শনিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এসময় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। নৌকা ছাড়া চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্যমতে, কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১২.৪৬ মিটার, যা বিপৎসীমার মাত্র ২৯ সেন্টিমিটার নিচে। সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি দাঁড়ায় ৯.৬৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ১.১৫ মিটার নিচে। কুশিয়ারার আমলসীদ পয়েন্টে পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৫৩ মিটার, বিপৎসীমার ২.৯২ মিটার নিচে। শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ১০.৮২ মিটার, বিপৎসীমার ২.২৩ মিটার নিচে। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি ১২ মিটার, মাত্র ৫৭ সেন্টিমিটার নিচে বিপৎসীমা থেকে। সারিগোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে বেড়ে হয়েছে ১০.০৪ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার নিচে। এবং পাহাড়ি নদী ডাউকি ও ধলাইয়ের পানি কিছুটা কমলেও বাকি নদীগুলোতে পানির বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। জাফলংয়ের পূর্ব, মধ্য ও পশ্চিম জাফলং, আলীরগাঁও, ডৌবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ইতোমধ্যে পানির নিচে। রাধানগর-গোয়াইনঘাট সড়ক আধাফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
নগরীর বিভিন্ন সড়কে জমেছে পানি। অনেক জায়গায় যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, “৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।”
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, “৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত এবং এনজিও ও রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক দল গঠন করা হয়েছে।”
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আসামেও ভারী বর্ষণ হচ্ছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে সিলেটের নদ-নদীগুলোতে।
বর্তমানে সিলেটে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা প্রবল। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।