cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
শনিবার ভোর থেকে টানা ভারি বর্ষণে বড়লেখা উপজেলায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও শহরের অলিগলি। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, ভেসে গেছে দোকানপাট, ধসে পড়েছে শত শত কাঁচা ঘর। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বাছিরপুর, হাতলিয়া, দক্ষিণভাগ, রতুলি, কাঠালতলি ও পানিধার এলাকায় অন্তত ৬-৭টি স্থানে রাস্তার উপর দিয়ে ৩-৪ ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হালকা যানবাহন চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। ভারি যানবাহনও চলছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে।
দক্ষিণভাগ, কাঠালতলী, পোরশহর, শাহবাজপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামীণ এলাকায় পানি ঢুকে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে। দিনভর বৃষ্টিতে দোকানপাট খুলতে পারেননি কেউ, ঘর থেকে বের হতে পারেননি সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া পরিবারগুলো।
বড়লেখা-কুলাউড়া সড়কের বিভিন্ন জায়গায়ও সড়ক তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পানি না কমলে যে কোনো সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে হাকালুকি হাওরে পানির স্তর বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার। তিনি জানান, “প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রতিটি ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে বড়লেখা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানি না কমলে বিদ্যুৎ চালু করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।
রাতভর বৃষ্টির ফলে নদনদী, খাল-বিলের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তবে অব্যাহত বর্ষণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।