cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
নগরীর মাছিমপুর এলাকায় মোটরসাইকেল পার্কিংকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে এলাকাবাসী অন্তত ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর মাছিমপুর ও ল’কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজুল হক আজিজ তার অনুসারীদের নিয়ে ল’ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় আড্ডা দিতে বসেন। এ সময় মাছিমপুর এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী অপু তার মোটরসাইকেল সেখানে পার্কিং করলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে গেলে আজিজের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগ কর্মী অপু, দিপু, মঞ্জু, মুজিব ও অপি। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আজিজ গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে ১৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়।
ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে আজিজের অনুসারীরা অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মাছিমপুরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক নারী কাউন্সিলর শারমিন আক্তার রুমির বাসায় হামলা চালায়। শারমিন অভিযোগ করেন, ওই সময় তার ঘরে থাকা প্রায় ৫০ লাখ টাকার নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়। ঘটনার সময় তার বাসায় কোনো পুরুষ সদস্য ছিলেন না বলেও তিনি জানান।
এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী একত্র হয়ে হামলাকারীদের প্রতিহত করে এবং তাদের ফেলে যাওয়া ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. রেজাউল করিম রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাটি মূলত পার্কিং ইস্যু থেকে শুরু হলেও পরে তা রাজনৈতিক রূপ নেয়। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “এই হামলা পরিকল্পিত। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার আসামি। প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ এই পরিণতি হয়েছে।”
এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, “৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।”
রাত ১২টা পর্যন্ত পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এদিকে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছেন।