cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ৬নং রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল গ্রামে এলজিইডি প্রকল্পের অধীনে নির্মিত প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ আরসিসি ঢালাই রাস্তায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় রাস্তা দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রকল্পের কাজের দায়িত্ব পেয়েছে সালেহ ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যার মালিক সালেহ চৌধুরী। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাস্তার নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের উপকরণ। প্রকল্পের শর্তানুযায়ী উন্নতমানের ভিট-বালু, পাথর ও সিমেন্ট ব্যবহারের কথা থাকলেও বাস্তবে ব্যবহার করা হচ্ছে কুশিয়ারা নদীর পাড় থেকে উত্তোলিত নিম্নমানের মাটি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রাস্তার কার্পেটিং ও ঢালাইয়ে অনুপযুক্ত কাঁচামাল ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রাস্তার স্থায়িত্ব হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এলাকাবাসী একাধিকবার স্থানীয় এলজিইডি অফিসে অভিযোগ করলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং, তারা অভিযোগ করেছেন যে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঠিকাদারের অনিয়মকে উপেক্ষা করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, ঠিকাদার সালেহ চৌধুরী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আগে এক গাড়িচালক রাস্তার বেহাল দশার প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
এছাড়া, আরসিসি ঢালাই কাজ শুরুর আগে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হোসেন মিটু দাবি করেন যে, রাস্তার ড্রেসিং না করা হলে ঠিকাদার কাজ করবে না। পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে রাস্তার ড্রেসিং সম্পন্ন করেন।
স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা নির্মাণের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে স্থানীয় কৃষিজমি ও বসতবাড়ি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
এছাড়া, ঠিকাদারের অনিয়মের ছবি ও তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দা রুনু আহমদ। পরে তাকে হুমকি দেওয়া হয় এবং এক ব্যক্তি অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এদিকে, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহর অফিস অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত ও অনিয়ম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।