সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

এমসি কলেজের অধ্যক্ষ বললেন,‘আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে’

সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজ ছাত্রাবাসে ধ’র্ষণকা’ণ্ডের পর কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠন করা ত’দন্ত কমিটির ১০০টি সুপারিশ কার্যকর করেছেন বলে দাবি করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহম’দ। তিনি বলেন, ‘আমি তো জানি, দায়টা আমা’র। শুরু থেকেই এ কথা বলছি। কিন্তু বাস্তবতা বুঝতে হবে। সব দায় আমা’র, আমি বলির পাঁঠা।’

আজ বুধবার হাই’কোর্টের একটি বেঞ্চ এমসি কলেজের অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বি’রুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহম’দ মুঠোফোনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হাই’কোর্টের আদেশের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অবহিত হবেন। তাঁর নিজের কোনো ভাষ্য নেই।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটে। ধ’র্ষণের ঘটনায় একে একে গ্রে’প্তার হন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিতি ছয়জন। ছাত্রাবাসের বাইরে থেকে সহযোগিতা করার অ’ভিযোগে আরও দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ। গ্রে’প্তার আটজন আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন। তাঁদের বি’রুদ্ধে আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মা’মলা’টি এখন বিচারাধীন।

করো’নাকালে বন্ধ কলেজ ও ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধ’র্ষণ ঘটনার পর থেকে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কলেজ অধ্যক্ষ ও ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠন দাবি তুলেছিল। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের দায় ত’দন্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক পৃথক ত’দন্ত কমিটি গঠন করে।

হাই’কোর্টের নির্দেশের পর আজ অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহম’দের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি চাকরি করি। এ বিষয়ে আমা’র কর্তৃপক্ষ আছে। তারা বলবে। আমি শুধু আমা’র করণীয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সব কটি ত’দন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গত আট মাস কাজ করেছি। সব মিলিয়ে ১০০টি সুপারিশ ছিল। এগুলো কার্যকর করেছি।’

কী’ কী’ কার্যকর হয়েছে, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘ছাত্রাবাসের সীমানাপ্রাচীর উঁচু করে কাঁ’টাতারের বেড়া বসানো হয়েছে। হোস্টেল সুপার পরিবর্তন করেছি। নৈশপ্রহরী বরখাস্ত করা হয়েছে। ছাত্রাবাসে এখন নতুন চারজন সুপার নিয়োগ করা হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের প্রবেশ বন্ধ করেছি।’

১০০ সুপারিশে ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যক্রম বিষয়ে কোনো পদেক্ষপ ছিল কি না, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘হোস্টেলে রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে। কিন্তু এটা কার্যকর করতে হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের উদ্যোগও দরকার। কলেজ কর্তৃপক্ষ একা কিছু করতে পারবে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: