cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন চৌহাট্টা পয়েন্টে পার্কিং করে রাখা পুলিশের মোটরসাইকেলে বোমা সদৃশ বস্তুটি আসলে গ্রাইন্ডিং মেশিন। এই মেশিন সাধারণত নির্মাণ শিল্পে টাইলস, বড় সাইজের রড, ঢালাইয়ের মত শক্ত বস্তু কাটতে ব্যবহার করা হয়।
প্রায় ২১ ঘন্টা পর সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল অভিযান চালিয়ে বোমা সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রাখা মোটরসাইকেল থেকে মেশিনটি অপসারণ করেন। এই মেশিন মোটরসাইকেলে কিভাবে এলো- এখন তার তদন্ত শুরু করেছে মহানগর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে।
এ সময় মোটরসাইকেল থেকে সন্দেহভাজন যন্ত্রটি অপসারণের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা বোমা নয় বলে নিশ্চিত হয় বোমা বিশেষজ্ঞ দল। এরপর বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল রাহাত সাংবাদিকদের বলেন, বস্তুটি চৌহাট্টায় পাওয়ার পর পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিেশর অনুরোধে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বস্তুটি দেখতে যাই।
লে. কর্নেল রাহাত বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরা দেখি এটি একটি গ্রাইডিং মেশিন। এরপর অনেক সতর্কতার সঙ্গে বস্তুটি (মোটরসাইকেল থেকে) খুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি। হতে পারে কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য রাখতে পারে। আমরা তদন্ত করছি।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মহানগর পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডু তার পার্কিং করা মোটরসাইকেলে রহস্যময় যন্ত্র দেখতে পান। তিনি চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশ বক্সের কাছে মোটরসাইকেল রেখে পার্শবর্তী একটি চশমার দোকানে গিয়েছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা চয়ন নাইডু মোটরসাইকেলে বোমা সন্দেহে মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর সতর্কতামূলকভাবে চৌহাট্টা পয়েন্টসহ জিন্দাবাজার, রিকাবীবাজার, আম্বরখানা, মীরবক্সটুলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশ ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা বুধবার পর্যন্ত ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থানে কর্ডন করে রেখেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বোমা সদৃশ বস্তু অপসারণের পর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়। একটি নিরীহ গ্রাইন্ডিং মেশিন দেখে দীর্ঘ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জঙ্গি গোষ্টির হামলার আশঙ্কায় বর্তমানে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের সতর্কাবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।