সর্বশেষ আপডেট : ৪০ মিনিট ১৮ সেকেন্ড আগে
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

তাহিরপুর সীমান্তে ইয়াবা, জালটাকা ও সরঞ্জামসহ ৫জন গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে গত ৭দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, জাল টাকা ও জালটাকা তৈরির সরঞ্জামসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ককে ম্যানেজ করে গত ২৬ জানুয়ারি রোববার ভোর ৫টা থেকে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী ও চোরাচালানীরা সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চাঁরাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত এলাকা দিয়ে একযোগে শতশত ট্রলি বোঝাই করে ভারত থেকে সারাদিন পাথর ও কাঠ পাচাঁর শুরু করে। আর রাতের আধারে পাচাঁর করে কয়লা, মদ, গাঁজা, হেরুইন, ইয়াবা, বিড়ি, গরু, ঘোড়া, জাল টাকা ও অস্ত্র।

সীমান্তের এই অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গত ০২.০২.২০ইং রবিবার সন্ধ্যায় সীমান্তের চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন রাজাই এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করার সময় মাদক ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন (২৮)কে ২শত পিছ ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জের ডিবি পুলিশ। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী রাজাই গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। অন্যদিকে তাহিরপুর থানার পুলিশ চাঁরাগাঁও সীমান্তের চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী দীপক মিয়া (৩৬) কে জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরি সরঞ্জামসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এরপর দীপকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার ৩ সহযোগী রুবেল মিয়া(২৮),আব্দুল্লা মিয়া(৩০) ও তানজিল মিয়া(৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়। দীপক মিয়া নিজেকে সুনামগঞ্জ বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয় দিয়ে সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত দাপটের সাথে মাদক,জালটাকা ও অস্ত্র ব্যবসা করার পাশাপাশি চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল। কিন্তু বিজিবি কখনই তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

দীপক গ্রেফতার হওয়ার পর তার সহযোগী বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব,মোফাজ্জল,রমজান মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী ও সোহেল মিয়া সীমান্তের সব দায়িত্ব পালন করছে বলে জানাগেছে। এব্যাপারে বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনের বৈধ কয়লা ও পাথর ব্যবসায়ীরা জানায়,সোর্স পরিচয়ধারী লাকমা গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল, বালিয়াঘাটের জিয়াউর রহমান জিয়া, তাজু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, লালঘাটের ইয়াবা কালাম, বড়ছড়ার কামাল মিয়া, রজনীলাইনের ফিরোজ মিয়া, আমির আলী, চাঁনপুরের আবু বক্কর, বিল্লাল মিয়া, জম্মত আলী, বারেকটিলার রফিকুল ইসলাম, লাউড়গড়ের আমিনুল, রফিক মিয়া,জজ মিয়া, নুরু মিয়া, শহিদ মিয়াসহ আরো একাধিক সোর্স পরিচয়ধারীদের নেতৃত্বে চলছে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। কিন্তু তারা সবাই রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে। অথচ এসব সোর্স পরিচয়ধারীদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক,কয়লা, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন,আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: