cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
সিলেট নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে নূর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো অর্থসহ আমপারা মুখস্থ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “কোরআনভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়তে হলে কোরআনকে পরিপূর্ণভাবে মানতে হবে, নতুবা আল্লাহর শাস্তি অবধারিত।”
তিনি আরও বলেন, “কোরআনের কিছু অংশ মানা আর কিছু অংশ অস্বীকার করা মুমিনের বৈশিষ্ট নয়। কোরআনের পূর্ণ অনুসরণই বৈষম্যহীন শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের একমাত্র পথ। কোরআনই একমাত্র কিতাব, যা পৃথিবীর সকল ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং একটিও অক্ষর পরিবর্তিত হয়নি—এটাই কোরআনের বড় মুজিযা।”
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “বিশ্বনবী (সা.)-এর জীবনই ছিল কোরআনের প্রতিচ্ছবি। কূটনীতিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি, আমাদের সমাজব্যবস্থা কোরআনের আলোকে গঠিত হবে। অনেক কূটনীতিক কোরআন পড়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন, আমরা তাদের কোরআন দিয়েছি। আমাদের সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে কোরআন বুঝে পড়ার বিকল্প নেই।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, “আমাদের মুক্তির পথ কোরআনভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। এই ধরনের প্রতিযোগিতা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
দি সিলেট ইসলামি সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুর রহমান বলেন, “তাহফিজুল কোরআন বোর্ডের মাদ্রাসাগুলোতে কোরআন অর্থসহ পড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এই উদ্যোগ সব মাদ্রাসায় চালু করা উচিত।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শাহ নজরুল ইসলাম বলেন, “কোরআন চর্চায় অগ্রগতি হলেও অর্থসহ পড়ার প্রবণতা কম। বুঝে কোরআন পড়লে কোরআনভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠবে এবং সুদ ও ঋণমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।”
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের প্রাক্তন আমীর হাফিজ শফিকুর রহমান মাদানী, ইকরা ইন্টারন্যাশনাল ইউকের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজির আহমদ উপস্থিত থেকে কোরআন শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
নূর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “আমাদের সংগঠন ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। ভবিষ্যতে বাবার নামে শিক্ষাবৃত্তি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে ক ও খ গ্রুপে অংশ নেওয়া ৬ জন বিজয়ীকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং ১৪ জন প্রতিযোগীকে মোট ৭০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ এবং সূচনা বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতার পরিচালক খতিব সাঈদ বিন নূরুজ্জামান মাদানী।
এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ধর্মীয় শিক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।