cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী মুরইছড়া চা বাগানে বসবাসরত এক প্রতিবন্ধী শিশুর জীবনে নতুন আশার আলো জ্বলেছে। সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ফলে প্রশাসনের নজরে আসে শিশুটির করুণ বাস্তবতা। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর সক্রিয়ভাবে শিশুটির সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।
প্রতিবন্ধী শিশু গোপাল সাওতাল (৩.৫ বছর) জন্ম থেকেই শারীরিকভাবে অক্ষম। সে সনচড়ি সাওতাল ও অনিল সাওতাল দম্পতির একমাত্র সন্তান। চা বাগানে দিনমজুর বাবার সামান্য আয়ে চলে তাদের সংসার। গোপাল স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে বা বসতে পারে না, তাই মা ঘরের মেঝেতে একটি ছোট গোলাকার গর্ত তৈরি করেছেন। সেখানেই সন্তানকে দাঁড় করিয়ে খাওয়ানো ও পরিচর্যা করেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ছাড়া শিশুটির উন্নতি সম্ভব নয়, কিন্তু তা চালিয়ে যাওয়া এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথের অনুসন্ধান ও প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে পরিবারটির খোঁজখবর নেয়। পরবর্তীতে শিশুটির জন্য সরকারিভাবে নেয়া হয় তিনটি উদ্যোগ—
১. প্রতিবন্ধী ভাতার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, এই মাস থেকেই তা প্রদান করা হবে।
২. রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
৩. মৌলভীবাজারের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
গোপালের চিকিৎসা ও সহায়তার বিষয়টি সরকারি দপ্তরের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সাংবাদিক, সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই অনুসন্ধানের মূলে থাকা সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো স্বীকৃতি বা কৃতজ্ঞতা জানানো হয়নি।
এদিকে শিশুটির মা সনচড়ি সাওতাল জানান, সিলেটের খাদিমনগরের একটি সামাজিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান— “নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিলে গোপালের উন্নতি সম্ভব। কিন্তু এই ব্যয়বহুল থেরাপির খরচ বহন আমাদের পক্ষে সম্ভব না।”
একটি ছোট্ট শিশুর জীবনমান উন্নয়নে সাংবাদিকতার বাস্তব ভূমিকা এবং মানবিক সমাজের সাড়া দেয়ার এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো, সহানুভূতির চোখে দেখলে সমাজ বদলানো সম্ভব। এখন সময়, এ ধরনের কাজকে সম্মান জানানো এবং দীর্ঘমেয়াদে শিশুটির চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সকলে এগিয়ে আসার।