cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার খোলা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরে ১২ লাখ শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক নেবে বিনা খরচে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার রাজধানী পুত্রজায়ায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দেশটির স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা ও চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ মে (বুধবার) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ও উপসচিব মো. সরোয়ার আলম সরকারি সফরে মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া আগামী কয়েক বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য বড় সুখবর মিলেছে ।
সংশ্লিষ্টতা জানান, দেশটিতে সাধারণ শ্রমিকের বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চাইতে দ্বিগুণ বা তারও বেশি। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীদের নানা বিরোধের আবর্তে ঝুলে আছে বিশাল এই শ্রমবাজার। ধীরে ধীরে সেই জটিলতা কাটছে। মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেভাবেই হোক বিশাল এই শ্রমবাজার খুললে; বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া শ্রমিক গেলে দেশ উপকৃত হবে, অভিবাসী কর্মী উপকৃত হবে।
মালয়েশিয়া কর্মরত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা কালবেলা বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির কে ব্যবসা করল, কে করল না এটাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নানান ধরনের জট পাকানো হচ্ছে। অনেক লোক এতে জড়িয়ে পড়ছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে দুদেশের সরকারের নিয়মনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে শ্রমিকের সুরক্ষা ও স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিশাল এই শ্রমবাজার খোলার পথে সরকার এগোচ্ছে । এতে সরকার ও দেশ উপকৃত হবে। দেশে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সরকার বা মন্ত্রণালয় কাউকে ব্যবসা বা কাজ এনে দিতে পারে না। ব্যবসায়ীদের একটি অংশ প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এবং আমাদের দেশের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও মন্ত্রণালয়কে দুর্বল ভেবে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হাঙ্গামা করে গন্ডগোল করে। শুধু বাংলাদেশ নয়, কোনো দেশেই রিক্রুটিং এজেন্সিকে কাজ সংগ্রহ করে দেওয়া বা কাজ এনে দেওয়া ওই দেশের মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এটা স্ব স্ব এজেন্সিকে করতে হয়। যেসব এজেন্সি বিদেশ থেকে কাজ আনবে; সরকার তাদেরকে শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি দেবে।’ তারা আরও বলেন, বিদেশে না গিয়ে, কাজ না এনে সেখানে কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি না করে দেশে বসে একশ্রেণির ব্যবসায়ী আন্দোলন, মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন, স্মারক লিপি, সেমিনার ও টকশো করে একে অপরকে দোষারোপ করছে। এই দোষারোপের অপসংস্কৃতি থেকে জুলাই বিপ্লবের পরে মামলা মোকদ্দমাও শুরু হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ অপরাংশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নানা অভিযোগে বা অভিযোগ এনে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করছে। এসব মামলাসহ নানান প্রক্রিয়া আমাদের শ্রমবাজারকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিক প্রয়াণের পরও মানব পাচার ও মানে লন্ডারিং আইনে মামলা হচ্ছে। এতে শুধু মালয়েশিয়া নয় অন্যান্য দেশের শ্রমবাজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, রিসিভিং কান্ট্রি বা যারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয় তারা দেখছে বাংলাদেশে কি হচ্ছে। সুতরাং বৈধ অভিবাসনের পরও কথায় কথায় মানব পাচারের মামলা হচ্ছে, বৈধ অভিবাসনের পরও এসব মামলা-মোকদ্দমা আমাদের দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন করছে।
সংশ্লিষ্টতা বলছেন, চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং স্থিতিশীল রেমিট্যান্স প্রবাহের জাতীয় প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখে, যেকোনো যৌক্তিক অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা জরুরি। মালয়েশিয়ায় স্বচ্ছ, খরচ-সাশ্রয়ী ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করা শ্রমবাজার পুনরায় চালু এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।