cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়ি এলাকায় সজনের (ডাটা) চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদা এবং মূল্য দুটোই ভালো থাকায় এ বছর চাষিরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফাল্গুন মাসের শুরু থেকে শুরু হয়ে চৈত্র ও বৈশাখ মাসজুড়ে সজনের মৌসুম চলবে।
জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা পাহাড়, দেউন্দি চা-বাগান, নবীগঞ্জ, বাহুবল ও মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগান এবং আদিবাসী পুঞ্জিতে সজন গাছে ঝুলছে সবুজ ডাটা। পাহাড়ি উঁচু-নিচু এলাকায় সার ও ওষুধ ছাড়াই এসব গাছে ভালো ফলন হয়েছে।
দেউন্দি চা-বাগানের বাসিন্দা ও থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, “পাহাড়ি জমিতে সজন ভালো হয়, এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।” একই এলাকার শ্রমিক নেতা আমোদ মাল জানান, “প্রতিবছর আমাদের সজন গাছে ভালো ফলন হয়, বিক্রিও হয়। মৌসুম শেষে গাছের কিছু ডাল কেটে দিলেই পরের বছর আরও ভালো ফলন হয়।”
কালেঙ্গা পাহাড়ের কালিয়াবাড়ি পুঞ্জির হেডম্যান বিনয় দেববর্মা বলেন, “আমাদের বাড়িতে সজন গাছ আছে। বিক্রির পাশাপাশি আমরা নিজেরাও খাই। এতে কোনো খরচ নেই, বরং লাভ হচ্ছে।”
বাহুবল উপজেলার আলীয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মন্ত্রী উটিয়ান টংপেয়ার বলেন, “সজন চাষে কোনো ওষুধ লাগে না, তারপরও ভালো ফলন হচ্ছে। নিজেরা খাচ্ছি, আবার বিক্রিও করছি।”
সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্তরঞ্জন দেববর্মা ও সহকারী হেডম্যান আশিষ দেববর্মাও একই অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “প্রতি বছর সজন ধরে, আমরা খাচ্ছি এবং বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছি।”
শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মোতাব্বির হোসেন জানান, “পাহাড়ি এলাকায় এখন ব্যাপক সজন চাষ হচ্ছে। আমরা সেখান থেকে কিনে শহরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি। লাভ ভালো হচ্ছে, আর ক্রেতারাও পাচ্ছেন বিষমুক্ত সবজি।”
বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সজন ডাটা ৮০-৯০ টাকা এবং ১২টি ডাটার এক আঁটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এসব ডাটা কেজি প্রতি ১২০ টাকা এবং আঁটি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সজনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, “সজন হজমে সহায়ক, পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও দাঁতের মাড়ির সমস্যায় এটি কার্যকর। এমনকি টিউমার প্রতিরোধ ও বাতের ব্যথায়ও এটি উপকারী।”
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আকতারুজ্জামান জানান, “জেলায় প্রায় ২৭ হেক্টর জমিতে সজন চাষ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ মেট্রিক টন। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে কৃষকরা এখন সজন চাষে আগ্রহী এবং লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ তাদের উৎসাহ দিচ্ছে।”
পুষ্টিতে ভরপুর এই দেশি সবজিটি হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়ি জনপদে যেন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।