সর্বশেষ আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির রাজ্যে পর্যটকদের ভিড়

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা ::

দীর্ঘ ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের ঢল নেমেছে চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে। প্রাণ-প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ছুটছেন জেলার নানা দর্শনীয় স্থানে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান ও পর্যটন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ। পর্যটন এলাকার চায়ের দোকান ও ছোট-বড় রেস্টুরেন্টেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।

বিশেষত শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি ৭১, চা কন্যার ভাস্কর্য, ভাড়াউড়া চা বাগান, বিটিআরআই রাধানগর, মনিপুরী পাড়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে পর্যটকদের ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে চাঁদের গাড়িখ্যাত জীপগাড়িতে চড়ে আনন্দ করছেন অনেকেই।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যমতে, ঈদের ছুটির গত তিন দিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪ হাজার ৫৩৩ জন পর্যটক প্রবেশ করেছেন। পর্যটকদের প্রবেশ ফি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৯৫ টাকা।

দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের জনপ্রিয়তা বরাবরই বেশি। চা বাগান, পাহাড়ি পথ আর শতাধিক পর্যটন স্পটের টানে পর্যটকরা ছুটে আসছেন এখানে। এছাড়া মনিপুরি, খাসিয়া, গারোসহ বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও তাদের উৎপাদিত পণ্য বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে পর্যটকদের মাঝে। বিশেষ করে মনিপুরি শাড়িসহ তাদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রী ব্যাপক জনপ্রিয়।

শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা ঢাকার পর্যটক সামিয়া রহমান বলেন, “এই প্রথম চা বাগানে এলাম। এখানে এসে ভালো লাগছে, চা বাগানে ছবি তুললাম, চারপাশের সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময়টা দারুণ কাটছে।”

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা তানহা চৌধুরী নিপা বলেন, “চা বাগানের পরিবেশ খুব ভালো লেগেছে। সবুজের সমারোহ আর কাঁচা চা পাতার ঘ্রাণ সত্যিই মনোমুগ্ধকর।”

পারভেজ ও জাহেদ নামের আরও দু’জন পর্যটক বলেন, “রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আনারস খাচ্ছি, চা বাগানে ঘুরছি। শ্রীমঙ্গলে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে।”

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, “এবার পর্যটকদের উপস্থিতি বেশ ভালো। ঈদের ২, ৩ ও ৪ তারিখে প্রায় সব রিসোর্টই হাউসফুল ছিল। পর্যটন ব্যবসার জন্য এটি ইতিবাচক দিক।”

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, এবারের ঈদে অন্যান্য সময়ের তুলনায় লাউয়াছড়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক বেশি ছিল।

ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “এবার ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় পর্যটকদের চাপ বেশি। আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে নজরদারি করছি, যাতে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়িয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।”

ঈদের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে প্রকৃতির রাজ্যে পর্যটকদের এমন ঢল মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: