cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
খলিলুর রহমান, বড়লেখা প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির বাড়িতে গিয়ে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নিহত গোপাল বাক্তির পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজ খবর নেন এবং গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি ফাহাদ আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সদস্য রুমন কবির, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি (স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয়ক সেল, সিলেট) আলী আব্বাস শাহীন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তামিম আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে এসে নিহত গোপাল বাক্তির পরিবার ও পাহাড়ে তার সঙ্গে বাঁশ কাটতে যাওয়া ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, গোপাল বাক্তি মারা যাওয়ার আগে তার সাথে থাকা লোকজনকে বলেছেন যে, বিএসএফ আসছে, তোরা পালা। এসময় ভয়ে তার সাথে থাকা অন্যরা পালিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দিয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাচ্ছে। এভাবে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না। যে সম্পর্ক দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে। ভারত সেটা নিজেই তৈরি করেছে। আমরা চাই যে সীমান্তে হত্যা বন্ধে সরকার আন্তর্জাতিক মহলে দাবি তুলুক। একটা মানুষ যাতে আর হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। এর আগে আমরা দেখেছি এখানে স্বর্ণা দাস নিহত হয়েছেন। পঞ্চগড়ের আনোয়ার হোসেন নিহত হয়েছেন। এবার আমরা গোপাল বাক্তিকে হারালাম। এইভাবে আমার দেশের নিরীহ জনগণ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিতে পারেনা। আমাদের সরকার এটা কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিক। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি জানাক। আর যাতে একটি প্রাণও না ঝরে। অবিলম্বে এই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বড়লেখায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সীমান্তের জিরো লাইনের ২০০ গজ অভ্যন্তর থেকে চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ। এর আগের দিন শনিবার পাহাড় থেকে বাঁশ আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান গোপাল। এসময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শ্রমিক পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। নিহত গোপাল বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে নিহত গোপালের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে বাড়িতে ছুটে যান ইউএনও তাহমিনা আক্তার। এসময় তিনি তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি জামায়াতের নেতৃবৃন্দরা নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা জামায়াত গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে। এদিকে বড়লেখা সীমান্তে বাংলাদেশ নাগরিককে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।