সর্বশেষ আপডেট : ২৩ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ছাতকে জিয়া হত্যা মামলায় সৎ ভাইয়ের আচরণে বিচার পাওয়া নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা

সুনামগঞ্জের ছাতকে সিংচাপইড় ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান হত্যা মামলার বাদী নিহতের সৎ ভাই তাজিজুর রহমানের অতি উৎসাহী আচরণ এবং সন্দেহভাজনদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ ওঠেছে। এ কারণে স্বামী হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্ত্রী রানু বেগম। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে রানু বেগম বলেন, ‘৮ সেপ্টেবর সিলেট শহরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন স্বামী জিয়াউর রহমান। ১০ সেপ্টেম্বর পাশের মহদী গ্রামের খাল থেকে তার বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আমাদের না জানিয়ে তার সৎভাই তাজিজুর রহমান তাড়াহুড়ো করে মামলা করেন। কিন্তু, মামলার পর থেকে সন্দেহভাজন গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী তাজ উদ্দিনের সঙ্গে তার সখ্যতা এবং তথ্যবিভ্রাটের কারণে বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা জাগাচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘হত্যার পেছনে যাদের হাত রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করেছি তাদেরকে নিয়েই আমার সৎ দেবর তাজিজুর মামলাটি করেছেন। মামলার পর থেকে তার আচরণও সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।’

মামলার বাদী পরিবর্তন এবং কোনো গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি জানান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রানু বেগম। তিনি বলেন, ‘অন্যথায় হত্যার সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে যাবে। আমরা সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলায় আমি ও আমার ছেলে সালমান ছাড়াও স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয় মহদী গ্রামের প্রণব সূত্রধর, একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ, জিলু মিয়া, গহরপুর গ্রামের লক্ষণ দত্তকে। যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের কাউকে অবগত করা হয়নি। পরবর্তীতে বাদীর আচরণ ও গতিবিধি নিয়ে আমাদের সন্দেহ শুরু হয়।’

রানু বেগম বলেন, ‘তাজিজুর ১০ বছর ধরে অন্য গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছেন। তার সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগও নেই। বাড়িতে আপন ভাসুর মুজিবুর রহমান এবং প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে থাকার পর কেন সৎ দেবর অতিউৎসাহী হয়ে মামলা করলেন তা বোধগম্য নয়। তবে, পরবর্তীতে তার আচরণ সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর অভিযোগ, ‘হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের রক্ষা করতেই তাজিজুর তাড়াহুড়া করে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘গহরপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী তাজ উদ্দিনের সাথে আমার স্বামীর পূর্ব বিরোধ ছিল। বছরখানেক আগে তাজ উদ্দীনের লোকজন একটি মামলায় আমাদের গোষ্ঠী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমার স্বামীকে স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। সেই মামলার রায় তাজ উদ্দিনের বিপক্ষে যায়। এরপর থেকে তাজ উদ্দিন আমার স্বামীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।’

রানু বেগম অভিযোগ করেন, ‘১০-১২ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাজ উদ্দিন দেশ ছেড়ে যান। সম্প্রতি দেশে ফিরলে হত্যাকাণ্ডের আগের দিন আমার স্বামীকে দোকান থেকে ডেকে নেন। রাতে বাড়ি ফিরলে আমার স্বামীকে খুব বিষন্ন দেখায়। একদিন পর তাকে খুন করা হয়।’

বাদী তাজিজুর রহমানের সঙ্গে তাজ উদ্দিনের নিয়মিত যোগাযোগের অভিযোগ করে বিচার পাওয়া শঙ্কা প্রকাশ করেন রানু বেগম। তিনি জানান, এ কারণে তিনি নিজে বাদী হয়ে তাজ উদ্দিন ও তাজিজুর রহমান, গ্রামের জয়নাল আবেদিন, রাজু মিয়া, গৌছ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দরখাস্ত করেছেন। আদালত একই ঘটনায় থানায় মামলা থাকার কারণে পুলিশকে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন এবং আমার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

তাজ উদ্দিন এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে জানান তিনি। স্বামীর প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সুবিচার নিশ্চিত করতে তিনি আইনশৃংখলাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: