cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি হু হু করে বাড়ছে। এ কারণে সিটি করপোরেশনসহ জেলার ১২টি উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন। তিনি বলেন, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর গতকাল থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।
স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষের সূত্রে জানা গেছে, নগর ও জেলায় প্রায় ৬০০ গ্রাম ও এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গতকাল সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলায় ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন উঠতে শুরু করেছেন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে পানি সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২২ সেন্টিমিটার; কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার; সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার এবং সারি-গোয়াইন নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে সিলেট নগরে এখনো প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা। নগরের উপশহর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, লামাপাড়া, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা, কেওয়াপাড়া, তালতলা, জামতলা, সোবহানীঘাট, যতরপুর, মাছিমপুর, পাঠানটুলা, দরগামহল্লা, পায়রাসহ অর্ধ শতাধিক এলাকায় বৃষ্টির পানি জমেছে। অনেক এলাকার বাসা ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি।