cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করোনার দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থা সামাল দিয়ে অনেক কষ্ট করে চলতি বছরের প্রথম থেকে ব্যবসাকে ফের চাঙ্গা করতে ব্যাংক লোন নিয়ে বালু মজুত করেছিলাম।
নদীতে পর্যাপ্ত পানি হলে নদী পথে সেই বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করবো এমন পরিকল্পনায় অপেক্ষমাণ ছিলাম আমরা। কিন্তু হঠাৎ পানির তোড়ে চোখের সামনেই ভেসে গেল সব। ব্যবসার আশায় বিনিয়োগকৃত সম্পদ হারিয়ে পাহাড়সম দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের মেসার্স দরবারী স্টোন সাপ্লাইয়ার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহমান দরবারী।
তিনি জানান, চলতি বছরের প্রথম থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাথর ও বালু সরবরাহের কার্যাদেশ পান। ধলাইয়ের পাড়ে ও কোম্পানীগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সেই বালু মজুত করে রাখেন। নদীতে একটু পানি বৃদ্ধি হলে ভলগেট দিয়ে সেই বালু নির্ধারিত স্থানে নদীপথে পৌঁছাবেন এমন আশায় অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বন্যার পানি ধলাই নদী উপচে একদিনের মধ্যেই সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই দিনের পানিতে মজুতকৃত সাড়ে চার লাখ মোটা ও ছোট দানার বালু ভেসে যায়। আব্দুর রহমান জানান, চার বিঘা জায়গা ভাড়ায় লিজ নিয়ে গত ৪ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জে তিনি পাথর-বালুর ব্যবসা করে আসছেন।
গত ৩ বছর আগে ভোলাগঞ্জে কোয়ারীগুলো বন্ধ করে দেয়া হলে বড় ক্রাশার মেশিনগুলো একরকম অচল হয়ে যায়। সেই থেকে বালু সরবরাহ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবারের বন্যায় ক্রাশার মেশিনের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি জানান। বন্যার করাল থাবায় তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় শুধু আব্দুর রহমান দরবারী নন। সাম্প্রতিক বন্যায় ওই এলাকার শত শত পাথর- বালু ব্যবসায়ী চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, থানাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে বন্যায় তছনছ হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। লেছু খালের মোস্তাফা মিয়া জানান- সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বালি খ্যাত এই উপজেলার শত শত ব্যবসায়ী তাদের শেষ সম্বল হারিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন।
ইন্ডিয়া থেকে এলসি’র মাধ্যমে আনা পাথর এবং স্থানীয় ধলাই নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালি স্তূপ করে রেখেছিলেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি সিলেটের বন্যার পানির তোড়ে চোখের সামানেই সব তছনছ হয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া এলাকার বালি ও এলসি পাথর ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমান জানিয়েছেন- ভারত থেকে আনা এলসি’র ৫-১০ সাইজের ৮০ হাজার সিএফটি পাথর তার ক্রাশার মিলের সামনে রাখা ছিল। বন্যার পানির তোড়ে সেই পাথর ভেসে গেছে। পানির স্রোতে ক্রাশার মেশিনের নিচে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply