সর্বশেষ আপডেট : ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ড আগে
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

চিরনিদ্রায় শায়িত হাদিসুর

ইউক্রেনে রকেট হা’মলায় নি’হত বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের ম’রদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মা’র্চ) সকাল ১০টায় হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়িয়েছেন হাদিসুরের চাচা মা’ওলানা মনিরুল ইস’লাম।

নামাজ শেষে বরগুনার বেতাগী উপজে’লার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাড়িতে দাদা মোতাহার হোসেন হাওলাদার ও দাদী রোকেয়া বেগমের কবরের পাশে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হাদিসুরের ম’রদেহ দাফন করা হয়।

গতকাল সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটের সময় হাদিসুরের ম’রদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

হাদিসুরের বাড়িতে চলছে আত্মীয়-স্বজনের আহাজারি। বাবা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার হয়ে পরেছেন বাকরুদ্ধ। মা আ’মেনা বেগম মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। একমাত্র বোন সানজিদা আক্তার শম্পার আর্তনাদ থামাতে পারছে না কেউ। মেজো ভাই তারেক গড়াগড়ি যাচ্ছেন মাটিতে। ছোট ভাই গো’লাম মা’ওলা প্রিন্স চি’ৎকার করে বলছে, আমা’র সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে তুই চিরতরে হারিয়ে গেলি।

গতকাল সোমবার (১৪ মা’র্চ) দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হা’মলায় নি’হত ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের ম’রদেহ ঢাকার হযরত শাহ’জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর সোয়া ১টায় ম’রদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি বেতাগীর উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পৌঁছেছে।

২০১৮ সালে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে হাদিসুর চাকরি নিয়েছে। নভেম্বর মাসে হাদিসুরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। হাদিসুরের টাকায় তাদের সংসার চলছিল। তার ছোট ২ ভাই এখনো পড়াশোনা করছে। হাদিসুরের মৃ’ত্যুতে ২ ভাইয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের দাবি, তার ছে’লেকে সরকারি চাকরি দেওয়া হোক।

চলতি মাসের ২ তারিখে ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হা’মলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মা’রা যান। ৩ মা’র্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। গত ৯ মা’র্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

চলতি মাসের ২ তারিখে ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হা’মলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মা’রা যান। ৩ মা’র্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। গত ৯ মা’র্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও হাদিসুরের ম’রদেহ আনা সম্ভব হয়নি। তার ম’রদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২৮ জন নাবিক নিয়ে আ’ট’কা পড়েছিল ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, যু’দ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর তারা আ’ট’কে পড়েছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: