cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানায় হত্যা মামলার বাদীর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু আফছার ভূঁইয়াকে ক্লোজ করা হয়েছে। যদিও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা দাবি করেছেন, “এসআই আফছারকে ঘুষের দায়ে নয়, প্রশাসনিক কারণে ক্লোজ করা হয়েছে।”
হত্যা মামলার বাদী আব্দুল লতিফ অভিযোগ করেন, তার মেয়ে নাদিয়াতুল ফেরদৌসকে গত ২৭ মে রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার স্বামী সোয়েল আহমদ সুমন ও সহযোগীরা। হত্যার পর এটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আফছার এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বাদীর অভিযোগ, “প্রথমে দুই ধাপে তাকে ১ লাখ টাকা দিই, পরে রিমান্ডের জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি।”
আব্দুল লতিফ জানান, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এসআই আফছার তার বাড়িতে গিয়ে কাকুতি-মিনতি করে বলেন, “চাকরি গেলে আমি পথে বসবো। আমাকে ক্ষমা করে দিন।” তখন তিনি এক লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন। পরে গত ২৬ জুন থানায় গিয়ে সিলেট রেঞ্জের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনে বাদী মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, “এসআই আফছার তার কাছ থেকে কোনো টাকা চাননি এবং তিনিও তাকে টাকা দেননি।”
এ প্রতিবেদকের কাছে লতিফ বলেন, “আমি সত্য গোপন করেছি কারণ সে চাকরি হারালে তার পরিবার পথে বসবে। আমাকে আল্লাহ অনেক কিছু দিয়েছেন। তাই আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি।”
ঘটনার অনুসন্ধানে একটি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এসআই আফছার নিহতের পরিবার থেকে ঘুষ নিয়েছেন এবং তদন্তে গাফিলতি করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান আসামির রিমান্ডে নিতে বিলম্ব করেন এবং মামলার অন্য অভিযুক্তদের শনাক্ত না করেই আসামির স্বজনদের বারবার থানায় ডেকে এনে হয়রানি করেন।
অভিযুক্ত এসআই আফছার অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি তদন্তে কোনো গাফিলতি করিনি। ঘুষ গ্রহণ বা অতিরিক্ত টাকা দাবির অভিযোগ সঠিক নয়।” তিনি জানান, “২৯ মে ফরোয়ার্ডিংয়ে রিমান্ডের কথা উল্লেখ থাকলেও ৬ জুন আবেদন করা হয় এবং ২১ জুন আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
তবে এ ঘটনায় বড়লেখা থানার পুলিশ প্রশাসনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘুষ ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।