cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট রিপোর্ট ::
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রগতিশীল নারী নেত্রী শাহানা হানিফ দ্বিতীয়বারের মতো নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম রাউন্ডেই নিরঙ্কুশ ৬৯.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হন এই সংগ্রামী নেত্রী, যা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক অর্জন নয়—একটি অভিবাসী পরিবারের কন্যার সাহসিকতা ও প্রতিশ্রুতির সাক্ষ্যও বটে।
একজন লুপাস আক্রান্ত নারীর অদম্য মানসিকতা, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং তৃণমূলের শক্তি এই বিজয়কে অনন্য করে তুলেছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই পার্ক স্লোপের ‘The Commissioner’ বারে জয়ের আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠেন তার সমর্থকরা। সেখানেই শাহানা বলেন, “আমরা কর্পোরেট প্যাক ও বিলিয়নিয়ারের বিরুদ্ধে লড়েছি… প্রমাণ করেছি, ব্রুকলিন কেনা যাবে না।”
শাহানা হানিফের নেতৃত্বে গঠিত এই বিজয় ছিল মূলত প্রগ্রেসিভ, ইমিগ্র্যান্ট স্বার্থ ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ফল। প্রতিদ্বন্দ্বী মায়া কর্নবার্গও প্রগতিশীল হলেও শাহানার সংগঠিত তৃণমূল প্রচার এবং ছোট ছোট দাতার সমর্থন ছিল তার বড় শক্তি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েল–গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সুস্পষ্ট অবস্থান এবং ইমিগ্র্যান্ট ও শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে জোরালো বক্তব্যও ভোটারদের প্রভাবিত করেছে।
২০২১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে তিনি ইতিহাস গড়েন—প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম নারী হিসেবে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে স্থান পান। এরপর ২০২৩ সালে পুনরায় জয়ী হয়ে তাঁর নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। এবার ২০২৬ সাল পর্যন্ত তিনি কাউন্সিলে থাকবেন।
তাঁর প্রথম মেয়াদে উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে, শিক্ষা, পার্ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে ২০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প অনুমোদন। ১৪টি আইন পাস (যার মধ্যে রয়েছে শ্রম অধিকার, পরিবেশ ন্যায়বিচার ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত আইন)। Intro 1303 বিল, যার মাধ্যমে শহরে fertility care নিয়ে সচেতনতা ও তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রুকলিনের পার্ক স্লোপ, উইনসর টেরেস, গোয়ানাস, কারল গার্ডেন্স, কাবল হিল এবং কেনসিংটন।
প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ইমিগ্র্যান্ট সমাজে শাহানার এই বিজয় নতুন আশার আলো। লড়াই করে জয়ী হওয়া একজন নারী নেত্রীর এই অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে—রাজনীতি মানে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, মানুষের পাশে থাকার সাহস এবং দায়বদ্ধতা।