cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা ::
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণে সাত মাস ধরে চলা জটিলতা অবশেষে সমাধানের পথে। বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের তৎপরতায় আশার আলো দেখছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নতুন ভবনের অভাবে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের একমাত্র দোতলা ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে, ফলে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি, কক্ষ সংকটের কারণে নবম ও দশম শ্রেণির গ্রুপ ক্লাস নেওয়াও হয়ে উঠেছে কঠিন।
বিদ্যালয়ের জন্য একটি নতুন ভবন বরাদ্দ হলেও তা বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মূলত তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবন নির্মাণস্থলে ২০টি গাছ রয়েছে উল্লেখ করে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গাছ কাটার অনুমতি চান। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত গাছের সংখ্যা অতিরঞ্জিতভাবে উল্লেখ করে তিনি ভবন নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করেন।
তাদের দাবি, যেখানে ভবনটি নির্মিত হবে সেখানে একটি পরিত্যক্ত ভবনে শরীফ উদ্দিন পরিবারসহ বসবাস করছিলেন। নতুন ভবন হলে তাকে সেখান থেকে সরে যেতে হবে, এজন্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে জটিলতা সৃষ্টি করেছেন।
পরবর্তীতে, ছাতক বিট ফরেস্টার মো. আইয়ুব খান সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানান, সেখানে প্রকৃতপক্ষে ১০টি গাছ রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৮,৯৬২ টাকা এবং গাছগুলো মূলত জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী।
এরপর ১৯ জুন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছালেক মিয়া পুনরায় ইউএনও বরাবর আবেদন করেন এবং জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেন। ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন, যারা সরেজমিনে গাছ কাটার যৌক্তিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব পান।
২২ জুন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্বতন প্রধান শিক্ষকের তথ্য বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে ইউএনও’র কাছে নতুন করে চিঠি দেয় এবং গাছ কাটার অনুমতি দিয়ে ভবন নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার অনুরোধ জানায়। একই দিনে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভবন নির্মাণে বিলম্ব না করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ছালেক মিয়া জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি প্রথম সরকারি নতুন ভবন। এ কারণে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “গাছ কাটার বিষয়টি পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে।”
বিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য তারা একটি নিরাপদ, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব একাডেমিক ভবন খুব শিগগিরই পাবে।