cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
খলিলুর রহমান, বড়লেখা প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ডিমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিতভাবে দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের (প্রায় ৫০ বছরের পুরাতন) একটি আকাশি গাছ কেটে ফেলেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। প্রথমে গাছটির ডালপালা ও কাঠ দুটি গাড়িতে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে গত ৯ মে, বিদ্যালয় ছুটির দিনে গাছটিকে ৯টি খন্ডে ভাগ করে আবারও নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, “প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের বহু অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পরই উপজেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শনে আসেন। এবং গাছ কাটার প্রাথমিক সত্যতা পান। বিষয়টি বুঝতে পেরে অভিযুক্ত শিক্ষক মুহিব নিয়ম বহির্ভূতভাবে বড়লেখা সোনালী ব্যাংকে গাছের মূল্য বাবদ মাত্র এক হাজার টাকা টেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেন, যা সন্দেহজনক।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তিনি শিক্ষক সমিতির একটি অংশের সভাপতি হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ইতিপূর্বেও অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মাননীয় সংসদ সদস্য বরাবর পাঠানো অভিযোগপত্রে তাঁকে অপসারণপূর্বক একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। তবে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, অভিযোগ পেয়েই তাৎক্ষণিক তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরজমিন তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলি LGED কে দ্বায়িত্ব দিয়েছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম জুবায়ের আলম বলেন, আমি ইউএনও স্যারের নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিধি বর্হিভূত ভাবে প্রধান শিক্ষক গাছ কেটে নিয়েছেন সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেননি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে করেছেন বলে প্রধান শিক্ষক যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছুই অবগত নন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান বলেন, আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লা আল মামুনের সাথে আলাপ করে নিয়ম মেনে গাছ কেটে নিয়েছি এবং তাদের কথা মতনই ১৮ মে ২০২৫ ইং তারিখে টেজারী চালান-এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের বড়লেখা শাখায় এক হাজার টাকা জমা দিয়েছি।
উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থের হিসাবও দিতে পারেননি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২২ ও ২০২৩ অর্থবছরে স্লিপ ও ইমার্জেন্সি খাতে মোট ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯২০ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিল বিদ্যালয়টি। তবে এসব অর্থের কোন হিসাবপত্র স্থানীয় অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি বা শিক্ষা অফিসের কাছে প্রদান করেননি মুহিব।
তাছাড়া নিয়মিত স্কুলে অনুপস্থিত থাকা এবং নিজের ইচ্ছেমতো স্কুলে আসা যাওয়া করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বেও উঠেছিলো।