cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
রশিদ আহমদ খান ::
৫ আগস্টের রাজনৈতিক বিপ্লবের পর ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হলে সব রাজনৈতিক দল দেশ গঠনের ডাক দেয়। ছাত্রসমাজ হয়ে ওঠে কেন্দ্রবিন্দু, আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছিলেন উচ্ছ্বসিত ও কারামুক্তির আশায় উদগ্রীব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত মুক্তি পান, জেলমুক্ত হন অন্যান্য দলের নেতারাও। শুরুতে সংস্কার, দেশগঠন ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলেও কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের মূল দাবি হয়ে দাঁড়ায়—”নির্বাচন চাই, নির্বাচন চাই”।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক প্রস্তুতি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ আরও সংকটে পড়বে। এজন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় দলটি। একই সুরে জামায়াতে ইসলামিও নির্বাচন চেয়ে আসছে। লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশে ফিরে রমজানের পূর্বেই নির্বাচনের দাবি জানান।
বড় দুই দলের ঐকমত্যে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। তবে ছাত্রসংগঠন এনসিপি এখনো সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনো তফসিল ঘোষণা করেনি, তবুও মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী বাতাস। আমাদের প্রতিনিধি আশফাক আহমদ ইতোমধ্যে স্থানীয় কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। অন্যান্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
মাঠে নামা প্রার্থীরা :
বড়লেখা-জুড়ী আসনে ইতোমধ্যে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি ও খেলাফত মজলিস নির্বাচনী মাঠে নেমেছে এর মধ্যে বিএনপির হয়ে মাঠে রয়েছেন তিনজন: নাসির উদ্দিন মিঠু, শরীফুল হক সাজু , জহরত আদিব চৌধুরী
নাসির উদ্দিন মিঠু – জুড়ী অঞ্চলের বাসিন্দা, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। এবারও তাকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শরীফুল হক সাজু – প্রবাসী ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এলাকায় ‘সাজুভাই’ নামে পরিচিত।
জহরত আদিব চৌধুরী- বিএনপির প্রয়াত নেতা এবাদুর রহমান চৌধুরীর কন্যা, ঢাকা থেকে নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করছেন। বড়লেখার একমাত্র মহিলা ব্যারিস্টার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামীর একমাত্র প্রার্থী-মাওলানা আমিনুল ইসলাম। সুজানগরের বাসিন্দা এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। দক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমদ রিয়াজ –সুবক্তা হিসেবে পরিচিত, সমাজে রয়েছে ভালো গ্রহণযোগ্যতা। এরশাদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
খেলাফত মজলিসের হয়ে মাঠে আছেন: মাওলানা লোকমান আহমদ –সুজানগরের বাসিন্দা, কওমী ধারার ভোট ব্যাংকের ওপর ভরসা রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বড়লেখা-জুড়ী আসনে অতীতে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম, এবাদুর রহমান চৌধুরী ও শাহাব উদ্দিন আহমদ। তবে এবার যারা প্রার্থী, তাদের কারোরই সংসদ সদস্য হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। ফলে নতুন মুখের প্রতিযোগিতা এবার বেশ জমজমাট হতে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের রাজনীতি নতুন মোড় নিচ্ছে। দিন দিন বাড়ছে নির্বাচনী উত্তেজনা। সময়ই বলে দেবে—কে হবেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের এই অঞ্চলের কাণ্ডারি।