cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে সিলেটের পাহাড়-টিলা ধ্বংস ও প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ সিলেট শাখা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সিলেট বিভাগজুড়ে পাহাড়-টিলা কেটে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রবণতা বেড়েছে। এর পেছনে ভূমিখেকো চক্র, রাজনৈতিক প্রভাবশালী এবং প্রশাসনের নিরবতা দায়ী।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ধরা সিলেট শাখার আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল করিম কিম।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সিলেট জেলা বর্তমানে পাহাড়-টিলা ধ্বংসে শীর্ষে অবস্থান করছে। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটে পাথর উত্তোলনের নামে টিলা কাটা হচ্ছে। অন্যদিকে গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমায় টিলা কাটা হচ্ছে জলাভূমি ভরাট ও মাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেট মহানগর ও আশপাশে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট দিনের পর দিন টিলা ধ্বংস করে চলেছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবেশ অধিদপ্তর পর্যন্ত রয়েছে নিষ্ক্রিয়। সিলেটের জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ‘সাক্ষীগোপাল’-এর মতো, বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
আলোচনায় আরও উঠে আসে, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পাহাড়-টিলা এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করা হয়নি। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে প্রশাসন কাদের স্বার্থ রক্ষা করছে?
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোস্তফা বলেন, “জেলা প্রশাসক সাহেব শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। উপজেলা পর্যায়ে সাহসী কর্মকর্তাদের সক্রিয় করে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পাহাড়-টিলা রক্ষা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাছিত শেরো, বাসদ নেতা উজ্জ্বল রায়, পরিবেশকর্মী রোমেনা বেগম রোজী, আইনজীবী অরূপ শ্যাম বাপ্পী, রাতারগুল অধিকারকর্মী মিনহাজ আহমেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধন থেকে দ্রুত পাহাড়-টিলা ধ্বংস বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। বক্তারা সতর্ক করেন, অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সিলেট বিভাগের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং পানির উৎস মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।