cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসে এক পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।
স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যুব সমাজের আত্মত্যাগের প্রশংসা
বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, “১৯৭১ সালে নৃশংস সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে লাখো নারী, পুরুষ, শিশু ও যুবক-যুবতী আত্মত্যাগ করেছিলেন। তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন।”
তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, গত পনেরো বছরে জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়, নাগরিক অধিকার পদদলিত হওয়া এবং প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বিনাশ—যার মধ্যে ১১৮ জন শিশু—এসবই আমাদের সমাজে গভীর সংকট তৈরি করেছে।”
“দেশের জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি”
ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যারা দেশকে মুক্ত করেছে, সেই ছাত্রনেতারা আমাকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমি তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।”
প্রথমবারের মতো বিমসটেক সম্মেলনে সরাসরি অংশগ্রহণ
বিমসটেক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সরাসরি অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “১৯৯৭ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে থাই সরকার ও বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের পাশে আছে।”
সমুদ্র পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায়
সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমুদ্র পরিবহন সহযোগিতা চুক্তি, যা বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন বৃদ্ধি করবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংকীর্ণ অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সদস্য দেশগুলো আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতায় মনোযোগী হলে বিমসটেক আরও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি বাংলাদেশ
এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের হাতে বিমসটেকের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে বিমসটেকের সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যা ১৬৭ কোটি এবং সম্মিলিত জিডিপি প্রায় ২.৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা।