cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার::
লন্ডন প্রবাসী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান ইসলামী স্কলার ও রাজনীতিবিদ ইমাম আজমল মসরুর বলেছেন, ন্যায়বিচার মানেই ইসলামী রাষ্ট্র। যেখানে ইনসাফ থাকবে সেখানে ইসলাম স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের কুদরত উল্লাহ কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে আলোচনাকালে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর শুরুতে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অতিথির পরিচয় তুলে ধরেন।
এসময় আজমল মসরুর বলেন, জোর করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় না। বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র হতে হলে দেশের জনগণ এবং পরিবেশ তা সমর্থন করতে হবে। জোর করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তা হিতে-বিপরীত হবে। তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগে প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন ও দেশের জনগণের সমর্থন। জনগণ যখন যা পছন্দ করবে তাই দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য সবার আগে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে কেউ যে মত বা পথেরই হোক না কেন সে যেন ন্যায় বিচার পায় এবং দুর্নীতি বিনাশ হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যদি তা হয়ে যায় তবে স্বাভাবিক নিয়মেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।
বর্তমান পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিগত পনেরো বছর তিনি দেশে আসতে পারেন নি। তৎকালীন সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার উপর অঘোষিত নিষোধাজ্ঞ ছিল। জুলাই বিপ্লবের পর এবার তিনি দেশে আসতে পারলেন।
আজমল মসরুর বলেন, দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নেমেই তিনি পরিবর্তনের ছোঁয়া পেয়েছেন। আগে প্রবাসীরা দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকেই যেভাবে হয়রানি শিকার হতেন এবার তা চোখে পড়েনি। মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারছে। তিনি শহর থেকে গ্রামে যেখানেই গিয়েছেন মানুষের মধ্যে মন খুলে কথা বলার একটা স্বস্তি দেখতে পেয়েছেন। এতদিন ভয়ে মানুষ কথা বলতে পারতো না। এখন মানুষের মন থেকে ভয় অনেকটা চলে গেছে। যে সমাজে মানুষ নির্ভয়ে কথা বলতে পারে সে সমাজ এগিয়ে যায়। জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগীদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তিনি সবাই যাতে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে সেই প্রত্যাশা করেন।
বৃটেনের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং বৃটেন প্রবাসীদের স্বার্থ বিষয়ক কথা বলতে গিয়ে তিনি বর্তমান সরকারের মাত্রাতিরিক্ত কর আরোপের বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি বলেন বর্তমান বৃটিশ সরকারে যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং কর ও নানামুখী বাড়তি বিলের বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে এতে সেদেশে অর্থনীতি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখিন হবে। যার সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাঙালী প্রবাসীদের উপর। এসময় তিনি বলেন আগে যেখানে তার ঘরেই সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিল ১৫০ পাউন্ড আসতো এখন ৫০০ পাউন্ড আসছে। একইভাবে গ্যাস ও অন্যান্য বিলের বেলায়ও বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে। যা বাঙালী সাধারণ পরিবারের পক্ষে বহন করা বেশ দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীর দুর্নীতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ পার্লামেন্টে তিনিসহ অন্যান্য অনেক মেম্বার ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা প্রতিবাদ করে আসছেন। তবে বর্তমান কেয়ার স্টারমারের সাথে টিউলিপ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ফলে বিষয়টি তারা যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে শুরুতে নেননি, আবার বাংলাদেশ থেকেও যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ বৃটিশ সরকারের কাছে যায়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার টিউলিপের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতে গিয়ে কৌশলী ভূমিকা নিচ্ছেন ফলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় যাচ্ছে। তবে পার্লামেন্ট থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটি দুর্নীতির বিষয়টি খোঁজে পেলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে। এতে টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ উভয়ই হারাতে হবে।
মতবিনিময়ে অতিথিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং বক্তব্য দেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, দৈনিক ইত্তেফাকের সিলেট ব্যুরো প্রধান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, দৈনিক আমার দেশের সিলেট ব্যুরো প্রধান খালেদ আহমদ, দৈনিক সিলেটের ডাকের চীফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের নগর সংবাদদাতা মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন এবং দৈনিক জালালাবাদের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দি ডেইলি ট্রাইবুনালের সিলেট প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেল, দৈনিক সংগ্রামের সিলেট ব্যুরো প্রধান কবির আহমদ, দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুনশী ইকবাল ও এমজেইচ জামিল এবং দৈনিক আমার দেশ সিলেট অফিসের ফটো সাংবাদিক এইচ এম শহীদুল ইসলাম।