ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান। সেই চোরাচালান প্রতিরোধ ও লাউড়েরগড় বর্ডার হাটে নিয়মের বাহিরে গিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিতে একটি চক্র তৎপর হলে দায়িত্বশীলরা কোনো পদক্ষেপ না নিলেও লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের বিএসবি’র নায়েক শামীম আহমদের তৎপরতায় চোরাচালানীরা নাজেহাল।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প এলাকা ও বর্ডার হাটে এমনি ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে নানান ভাবে বিএসবি’র নায়েক শামীম কে ম্যানেজ করে চোরাচালানীরা ও তাদের সহযোগীরা তাদের সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, বিএসবির নায়েক শামীম আহমেদের মত আরও দু থেকে তিন জন কাজ করলে সীমান্তে চোরাচালান ও বর্ডার হাটে অনিয়ম প্রতিরোধ করা সহজ হত।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়,লাউড়েরগড় বিজিবি এলাকার সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিরা ব্যাপরোয়া হলে তাদের লাগাম টেনে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয় লাউড়েরগড় শাহিদাবাদ বর্ডার হাটে কাউকে কোনো ধরনের সুবিধা না দিয়ে আইন অনুযায়ী কার্ডধারী ব্যবসায়ীদের মালামাল নিতে দেন। এদিকে স্থানীয় একটি চক্র হাটে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিয়মের বাহিরে গিয়ে অতিরিক্ত বিভিন্ন পন্য হাট থেকে নিতে চাইলে তিনি বিধি অনুযায়ী বাধা দিয়ে আসছেন। কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় না দেয়া,কঠোর নজরদারি রাখায় কোনঠাসা চোরাচালানী ও সুবিধাবাদী সিন্ডিকেট চক্র।

স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল মিয়া জানান, লাউড়েরগড়ে চোরাচালান বন্ধে ও বর্ডার হাটে চোরাচালানীদের এবং হাটে একটি চক্র যারা চোরাচালানীদের সাথে আতাত করে অবৈধভাবে পেয়াজের চালান হাট থেকে বের করতে চায়। কিন্তু পারে নি কারন বিএসবি সেই সুযোগ দিচ্ছে৷ ফলে চোরাচালানীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।

আরেক বাসিন্দা জহির মিয়া জানান,বিএসবির মত যদি ক্যাম্পের কমান্ডারসহ বিআইপি,আরআইবি সহ সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করত তাহলে চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হত।

এই বিষয়ে লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প এলাকার দায়িত্বে থাকা বিএসবি’র নায়েক শামিম আহমেদ কেনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আতিয়ার রহমান জানান,চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। একেই সাথে বর্ডার হাটের অনিয়ম প্রতিরোধে ও নিরাপত্তায় কাজ করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল