সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সুরমা মার্কেট হোটেল কক্ষে যুবককে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার :

নগরের তালতলাস্থ সুরমা মার্কেট। এ মার্কেট এখন অপরাধীদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাদক কেনাবেচা, ব্ল্যাকমেইল, পতিতা, জুয়াসহ সব কুকীর্তি এখানে হচ্ছে। প্রায়ই পুলিশী অভিযানে গ্রেফতার হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, অভিযানে মূল হোতারা আটক হচ্ছে না। তারা আড়ালে থেকেই এসব অপরাধ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে সুরমা মার্কেটের মেঘনা আবাসিক হোটেলে ব্ল্যাকমেইল করে যুবককে ধরে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ওই হোটেল ঘেরাও করেন।

জানা যায়, নগরীর শামীমাবাদ মজুমদার পাড়ার আশেক মিয়ার ছেলে জাবেদ হোসেন রাজু ও গোলাপগঞ্জের বাঘা জালাল নগরের হেলাল উদ্দিনের ছেলে আবু সুফিয়ান সুরমা মার্কেটের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন হোটেলটির একজন দালাল তাদের কাছে জানতে চায় কিছু লাগবে কিনা। তারা গায়ে পড়ে হোটেলে সুন্দরী নারীর কথা উল্লেখ করলে সুফিয়ান ও রাজু তাদের দরকার নাই বলে এড়িয়ে যেতে চান। তখন দালালরা তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে দু’জন প্রতিবাদ করেন। এরপর মুহূর্তে তাদেরকে ঘিরে ধরে আরো কয়েকজন দালাল। জোর করে তাদের হোটেলে নিয়ে মারধর করে টাকা-পয়সা রেখে ছেড়ে দেয় মেঘনা হোটেলের দালালরা।

ছাড়া পেয়ে সুফিয়ান ও রাজু তাদের নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের খবর দিলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে রাতে হোটেল ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে দোষীদের আইনের আওতায় নেওয়ার আশ্বাস দিলে যুবকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত দুই যুবক কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, এমন ঘটনা এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এই মার্কেটের ভেতরে বা বাইরে কোথাও মানসম্মান নিয়ে চলার উপায় নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে যারাই প্রতিবাদ করেন, দালালরা তাদের ওপরই চড়াও হয়। ধরে নিয়ে নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়। তারা জানান, আগে এই হোটেলের নাম ছিল হোটেল বদরুল। পুলিশি অভিযানের মুখে কিছুদিন হোটেলটি বন্ধ রাখা হয়। এরপর নাম পাল্টে মেঘনা রাখা হয়।

সূত্র জানায়, শুধু সুরমা মার্কেটস্থ মেঘনা আবাসিক হোটেলই নয়, নগরীতে অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হোটেলগুলোর একটি বড় অংশ অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। নারী দিয়ে পুরুষদের ব্ল্যাকমেইল, ধর্ষণসহ হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ হোটেল মালিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: