cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং করোনার সনদপত্র ছাড়াই অবাধে প্রবেশ করছে বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক, চালক ও হেলপাররা। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে ও দেশের রপ্তানিখাতকে বাঁচাতে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমস হাউজ খোলা রেখে সব কাজই চলছে। আর এ কারণে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য কোন সংগঠন দাবি করেনি। সকলের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বন্দরের কাজ সম্পন্ন করা হোক।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বেনাপোল পৌর এলাকাসহ শার্শা উপজেলায় এক হাজার ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তিন হাজার ৮৭৪ জনের। করোনায় মারা গেছেন ১৫ জন। এর মধ্যে বন্দর, কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের কেউ নেই। তবে অনেকের শরীরে উপসর্গ রয়েছে। যেটা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর এনিয়ে বিরাজ করছে মানুষের মধ্যে করোনার আতঙ্ক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ও ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা নিয়ে আসছে এই বন্দরে করোনাভাইরাস। বন্দর অভ্যন্তরে ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় চালক-হেলপাররা অনায়াসে বন্দরের শ্রমিক, কর্মচারীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
করোনা শুরুর প্রথম দিকে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত করেছিলেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করোনার নেগেটিভ সনদপত্র নিয়ে চালক এবং হেলপাররা বন্দরে প্রবেশ করবে। আজ পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। প্রথম দিকে বন্দরের পক্ষ থেকে তাপমাত্রা দেখা, ভারতীয় ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও পিপিই, মাস্ক পড়ে আসলেও এখন এগুলোর কোনো খোঁজ নেই। যাদের ট্রাক থেকে দিনের দিন পণ্য খালাস হচ্ছে না তারা বিশেষ পাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে ভারতে চলে যাচ্ছে। পরের দিন সকালে আবার বন্দর এলাকায় ফিরে আসছে।
গত ২৬ মে বেনাপোল স্থল বন্দরে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেনকে জানানো হয়, প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানি পণ্য পরিবহনের সঙ্গে ছয় থেকে সাত শ চালক ও হেলপার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। এতে বন্দরে নিযুক্ত প্রায় দুই হাজার শ্রমিক, কয়েক হাজার সিএন্ডএফ ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী কর্মকর্তারাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশের কথা।
তিনি মতবিনিময় সভা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ভারত থেকে যে ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে আসে সেইসব ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারদের গতিবিধি কিভাবে আরো নিয়ন্ত্রিত করা যায়, আমাদের দেশের ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিকরা যে কাজগুলো করছেন তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সকলের কিভাবে টিকার আওতায় আনা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্থু প্রায় দেড় মাস পার হলেও বন্দরের সাথে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের টিকার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা। এ অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর সচল রাখা হয়েছে। তবে এখানে ভারতীয় ট্রাক চালক থেকে শুরু করে বন্দরের শ্রমিক কেউ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে সীমান্তে করোনা সংক্রমণ সম্প্রতি বেড়েছে। ভারত থেকে আগত ট্রাকচালকদের শূন্য রেখায় সেনিটাইজেশন করতে হবে। আগত ভারতীয় ট্রাকে স্প্রে করতে হবে। ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে প্রবেশের পূর্বে থার্মাল স্ক্যানার দ্বারা শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি পত্র বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিস্ট সকলকে দেওয়া হলেও কার্যকরী কোন ভূমিকা দেখা যায়নি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানি গেটে স্প্রে করা হচ্ছে। বন্দরের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপাররা যাতে বাইরে যেতে না পারে সে জন্য নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল স্বল্পতার কারণে ভারতীয় চালকদের তাপমাত্রা মাপা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিস্টদের জানানো হয়েছে। তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ