সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ৮ ক্যামেরা চুরি, আটক ১৪

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজে স্থাপিত ৩৭৬টি ক্যামেরার মধ্যে ৮টি ক্যামেরা চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম,আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন, বাবর আলী ও আমজাদ হোসেন। তারা সবাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ও খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভেতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে যায়।

সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সে কারনে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারাই হোক না কেন তাদের সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে।

এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় ছেলেকে আটক করে মামলা দিয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত, ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ বন বিভাগ এখন নিরীহ জেলেদের আটক করে মিথ্যা মামলায় চালান দিচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: