সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

৫ বছরে ৫০০ নারী পাচার করেছে টিকটক-ফেসবুক গ্রুপ

গত পাঁচ বছরে ৫০০ নারী পাচার করেছে টিকট’ক ও ফেসবুক গ্রুপ। যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছর। এছাড়া গত আট বছরে তারা এক হাজার মে’য়েকে পাচার করেছে। শনিবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু’ক্তির অ’পব্যবহার: নারী ও মে’য়েশি’শুদের পাচার রোধে করণীয়’ বিষয়ক একটি ওয়েবিনারে এ তথ্য দেওয়া হয়।

এতে প্রধান অ’তিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, বিটিআরসি ইতোমধ্যেই টিকট’ক ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন আ’পত্তিকর কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য বলেছে। তারা বলেছে, তারা যথাযথ সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, খুব দ্রুত চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইভমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর), যার মাধ্যমে মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর পরিচয় বোঝা যাবে। ফলে কেউ কারও সেট বা সিম ব্যবহার করতে পারবে না। টিকট’ক, ফেসবুক এগুলো বিটিআরসি চাইলেই বন্ধ করতে পারে না। তবে আম’রা মনে করি এ ব্যাপারে সমাজের সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ওয়েবিনারে বিশেষ অ’তিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর পু’লিশ তেজগাঁও জোন উপ-কমিশনার মোহাম্ম’দ শহিদুল্লাহ, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সালমা আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে ওয়ার প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

আলোচনায় বলা হয়, বাংলাদেশে টিকট’ক/লাইকি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারকা হওয়ার প্রলো’ভন দেখিয়ে মে’য়েদের ফাঁদে ফেলা হয়। যেহেতু লাইকি ও টিকট’কের জন্য খুব সামান্য সেটআপ ও দক্ষতা দরকার হয়, তাই স্বল্প শিক্ষিত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছে’লেমে’য়েরা খুব সহ’জেই সাইবার-বিনোদন জগতে প্রবেশ করতে পারে।

মোহাম্ম’দ শহিদুল্লাহ বলেন, প্রযু’ক্তিকে ব্যবহার করে যে এভাবে নারী পাচার কার্যক্রম চলছে, তা বুঝতে আমাদের দেরি হয়ে গেছে। আম’রা মনে করেছিলাম এসব মজার অ্যাপ দুনিয়াব্যাপী চলছে, এখানেও সেইভাবেই চলছে। কিন্তু পরে দেখলাম তরুণদের একটা গ্রুপ সংগঠিত হয়ে অ’প’রাধ করছে এগুলো ব্যবহার করে।

অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, যে মে’য়েগুলো ফিরে আসে তাদের নিরাপত্তা কোথায়? তাদের কতদিন সেফ হোমে রাখা সম্ভব?

উম্মে ওয়ারা বলেন, ঘটনাগুলো সমাজে জেন্ডার বৈষম্য থেকে ঘটে থাকে। মে’য়েরা যদি এসব চক্রের হাত থেকে বেঁচে ফিরেও আসে, সমাজ তাদের নষ্ট মে’য়ে বলে। এখানে ভিকটিম ও উইটনেস প্রটেকশন অ্যাক্ট’কে দ্রুত কার্যকর করতে হবে।

শাহীন আনাম বলেন, সরকার কিংবা পু’লিশ একা এদের রোধ করতে পারবে না। আমাদের সামাজিক আ’ন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কারণ প্রযু’ক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়বেই।

ওয়েবিনারে এসবে জ’ড়িতদের চিহ্নিত করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর ইন্টারঅ্যাকশনসের মনিটরিং বাড়ানা, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পু’লিশের প্রযু’ক্তিগত সমতা ও বিশেষায়িত জ্ঞান বাড়ানো, অ’ভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানো, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো, ভা’রত সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে জো’রদার কথা বলা, পু’লিশের পাশাপাশি সব সংস্থা ও এনজিওগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার সুপারিশ করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: