cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেট বিভাগে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে বিভাগে চালুকৃত একমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এর চাপ কমাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ল্যাব দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।
কিন্তু অনুমোদনের ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নানা সংকট আর সীমাবদ্ধতার কারণে ল্যাব চালু করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অন্যদিকে যথাযথ সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত না করেই পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল শাবি ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালকে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব চালুর অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে ইতোমধ্যে শাবি ছাড়া বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা চলছে।
নমুনা পরীক্ষা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ (জিইবি) ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-ই তে জিইবি বিভাগে নমুনা পরীক্ষার স্থান নির্ধারণ করে দুইটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কিন্তু ল্যাব স্থাপনে প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকা, সুরক্ষিত স্থানে ল্যাব স্থাপন না করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা, দক্ষ শিক্ষকদের সম্পৃক্ত না করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই বিভাগের একাধিক শিক্ষকদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এতে ল্যাব প্রস্তুত ও নমুনা পরীক্ষা শুরু করতে বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানা যায়।
এসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক করোনা সম্পর্কে উল্লেখিত নিয়ম-কানুন মানা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে ভাইরাসটি ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া নমুনা পরীক্ষার বায়ো-সেফটি লেভেল-৩ মানের ল্যাব প্রয়োজন। এগুলো নিশ্চিত না করে পরীক্ষার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো লিক প্রুফ রুমও নেই। ফলে এখান থেকে ভাইরাসটি অতি সহজেই বাইরে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে গত ৭ এপ্রিল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা ল্যাবে শুরু হয় করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা। প্রথম দিকে নমুনার পরিমাণ কম হওয়ায় ওই ল্যাবেই সিলেট বিভাগের রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করে একদিন পরেই রিপোর্ট দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সংগৃহীত নমুনার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত নমুনা পাঠাতে হচ্ছে আইইডিসিআরে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার রিপোর্ট দিতেও সময় লাগছে বেশি।
এজন্য গত ২৮ এপ্রিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবের উপর পরীক্ষার চাপ কমাতে দ্রুত শাবির করোনা শনাক্তের ল্যাব চালুর নির্দেশ দেন করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও ত্রাণ বন্টন কাজের সমন্বয়ে সিলেট জেলার দায়িত্বে থাকা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নমুনা পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত জিইবি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষা শুরুর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ তারিখে অফিসিয়ালি নোটিশ পেয়েছি। তারপর আমাদের ল্যাবে যে উপকরণ ছিল সেগুলো জার্মানির তৈরি কিট ব্যবহার উপযোগী, কিন্তু ইউরোপে চাহিদা বেশি থাকায় এর সংকট দেখা দিয়েছে। তাই চীনের তৈরি কিট ব্যবহার উপযোগী যন্ত্রপাতি নতুন করে ক্রয় করতে হয়েছে। এজন্য কাজ শুরু করতে একটু দেরি হচ্ছে।
বায়ো-সেফটি লেভেল-৩ মানের ল্যাব স্থাপন না করার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও বায়ো-সেফটি লেভেল-২ নিশ্চিত করেই করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা চলছে। আমরাও সেই লেভেল নিশ্চিত করেই পরীক্ষা শুরু করবো।
সুরক্ষিত স্থানে ল্যাব স্থাপন, সার্বিক নিরাপত্তা ও দক্ষ শিক্ষকদের সম্পৃক্ত না রাখার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। বাসায় বসে বসে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করা যাই। কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য জিইবি ও বিএমবি বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এতে যারা সাড়া দিয়েছে তদের নিয়েই কাজ চলছে।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে দেয়া করোনা সম্পর্কিত নিরাপত্তার নিয়ম-কানুন পুরোপুরি মানা হচ্ছে কিনা- এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এজন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম দুই সপ্তাহ যাবৎ কাজ করছে। যারা করোনা পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের জন্য বায়ো সেফটি ক্যাবিনেট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবকিছুর জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। গোসলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ল্যাবে কর্মরতদের পিপিই, গ্লাভস, চশমাসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের হাতে নেই। এজন্য একটু একটু দেরি হচ্ছে। তবে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ল্যাব স্থাপনসহ আনুষাঙ্গিক কাজে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। আরও কিছু যন্ত্রপাতি লাগবে। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যেই নমুনা পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।
সার্বিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা সিভিল সার্জনসহ বিশেষজ্ঞরা ল্যাব পরিদর্শন করে গিয়েছেন। নিরাপত্তার প্রস্তুতি দেখে তারা অনেক সন্তুষ্ট হয়েছেন।