cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা ::
সুনামগঞ্জের ভাষা সৈনিক, শিক্ষাবিদ ও লেখক মু. আব্দুর রহিম আর নেই। গতকাল শনিবার সকালে ৯৭ বছর বয়সে শহরের ষোলঘরস্থ বাসভবনে মারা যান তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। তাঁর মুত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জেলার সুধীজন। মু. আব্দুর রহিম সুনামগঞ্জে তিন প্রজন্মের শিক্ষক হিসেবে জেলায় পরিচিত।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২৮ সনে জন্মগ্রহণ করেন মু. আব্দুর রহিম। গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষার হাতেখড়ি। এই স্কুলের প্রথম বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র তিনি। পরে সুনামগঞ্জ এমই (মিডল ইংলিশ) মাদরাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে সুরমা উপত্যকা (অবিভক্ত ভারতের আসাম-সিলেট) আসাম সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হন। ১৯৪৩ সনে সরকারি জুবিলিতে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুনামগঞ্জ জুবিলি স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৯ সনে আইএ এবং ১৯৫১ সনে বিএ পাস করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি সাউথ সুরমা হাইস্কুলে যোগদান করেন ১৯৫২ সনে। পরে রাজা জিসি স্কুলে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। কিছুদিন ডাক বিভাগেও চাকরি করেন।
এই সময় ভাষা আন্দোলন শুরু হলে তিনি বাংলাভাষার দাবিতে ঢাকাই কারবালা শিরোনামে একটি দীর্ঘ কবিগান রচনা করেন। এটি তখন ভাষার দাবিতে প্রকাশিত বিভিন্ন সংকলনে প্রকাশিত হয়। যা ছাত্রদের মধ্যে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। ১৯৫২ সনে ডাকবিভাগ ছেড়ে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর চিঠি লিখে আবারও শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৫৩ সনে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিদ্যালয়ে বাংলার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৩ সন থেকে বিদ্যালয়ের সবগুলো বার্ষিকী স¤পাদনায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৫ সনে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অবসর নেওয়ার পর সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সাড়ে তিন বছর শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে চাইল্ড কেয়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে তাকে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখানে কিছুদিন কাজ করেন। তবে গত দেড় দশক ধরে তিনি পূর্ণ অবসরে ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে লেখালেখি করে সময় কাটান।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, স¤পাদনা ও গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৯ সনে তার বাংলা ভাষা ও বাংলা শিক্ষকের মর্যাদা নামে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ১৯৭০ সালে ভাষা আন্দোলনের ওপর তিনি উন্মোচন নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা স¤পাদনা করেন। ১৯৫৯ সনে তার কাব্যগ্রন্থ চোখের জলে হাসি প্রকাশিত হয়। পরে এই গ্রন্থটি আরো দুইবার মুদ্রণ হয়। ১৯৯৯ সালে কুরআনের কাব্যানুবাদ প্রকাশ করেন।
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সময় নবদিগন্ত নামে ম্যগাজিন সম্পাদনা করেন। ২০০৭ সালে আলোকিত ব্যক্তিত্ব মুনাওওয়ার আলীর জীবনী প্রকাশে যুক্ত ছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার দুপুরে বাদ জোহর তার গ্রামের বাড়ি আলমপুরে প্রথম যানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে ষোলঘর মাঠে। পরে শহরের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।