সর্বশেষ আপডেট : ১০ মিনিট ১৪ সেকেন্ড আগে
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

শিক্ষক মীর মোঃ মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, অপসারণ দাবি

বড়লেখা প্রতিনিধি::

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ডিমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মোঃ মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ এনে অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

গত ২৪ মে শনিবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল, ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুল গনি, আব্দুল মতিনসহ অসংখ্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি শেষে একটি স্বারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে এলাকাবাসীর প্রায় ৩০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান বিদ্যালয়ের একটি ৩০ বছর পুরোনো আকাশী গাছসহ গাছের ডালপালা কেটে তিন ট্রাক কাঠ নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। আনুমানিক মূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া স্থানীয়দের প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো বৈধ অনুমতির কাগজ দেখাতে পারেননি।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না, সাপ্তাহে মাত্র দুই-তিন দিন আসেন এবং হাজিরা খাতায় মিথ্যা স্বাক্ষর দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে চরম অবহেলা করেন। বিশেষ বরাদ্দের প্রায় দুই লাখ টাকা, স্লিপ ও ওয়াসব্রক প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করে আত্মসাতের অভিযোগও তোলা হয়েছে।

ঘটনার পর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে নিজের বক্তব্য প্রচার করেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ফলে এলাকাবাসী তার দ্রুত অপসারণ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম জুবায়ের আলম ২০ মে স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শাতে বলেন, কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে না। তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলের আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে এখনো অভিযুক্ত শিক্ষক গণমাধ্যমের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেননি।

ঘটনার পর থেকে ডিমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: