cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
খলিলুর রহমান, বড়লেখা:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পিডিবির (পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) পরিত্যক্ত ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইনের লাখ লাখ টাকার মার্লিন তার, ইনস্যুলেটর, এঙ্গেলসহ বিভিন্ন মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাচ্ছে। চোরেরা এসব মালামাল ভেঙে কেজি দরে বিক্রি করছে স্থানীয় ভাঙ্গারি দোকানে। বিষয়টি স্থানীয়রা একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশকে অবহিত করলেও রহস্যজনকভাবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত ২ রমজান (১ মার্চ) রাতে রতুলিবাজার এলাকায় এক ভাঙ্গারি দোকানে চোরাই বৈদ্যুতিক তার কাটার সময় ব্যবসায়ীরা গ্রাম পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই মফিজুল ইসলাম ও এসআই মাসুদ পারভেজ মালামাল জব্দ না করে ফিরে আসেন। পরে এসআই সুব্রত চন্দ্র দাসসহ আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলেও দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রতুলিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাহেদুল ইসলাম সুমন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তারা নিজেরা চোরাই তার জব্দ করে ভিডিও ধারণসহ প্রমাণ পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়েছেন।
এদিকে, দক্ষিণভাগ, গাংকুল, কাঠালতলী ও পানিধারসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটিতে পড়ে আছে এবং তারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি হয়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, বিগত দেড়-দুই মাসে অন্তত বিশ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহাদাৎ হোসেন বলেন, “পিডিবির পরিত্যক্ত লাইনটি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, আরইবি লাইন ও সরঞ্জাম অপসারণ করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। তবে চুরির বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। শুক্রবার এক সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের প্রশ্ন, যদি এই লাইন আর প্রয়োজন না থাকে, তবে তা অপসারণ করে সরকারি নিয়মে বিক্রি করা যেত। এতে সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় করত। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় আজ রাষ্ট্রীয় সম্পদ দেদারসে চুরি হচ্ছে, অথচ কারো যেন তাতে কোনো দায় নেই।