cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সেমিফাইনাল বলেই কি এতটা নাটকীয়? না কি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বলেই সব অসম্ভব সম্ভব? লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে অনেক আর্সেনাল ভক্তের দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়েছে—তাদের প্রিয় দলকে ঘরের মাঠেই ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
এমিরেটসে তৃতীয় মিনিটেই যেন বাজ পড়াল পিএসজি। খভারাতসখেলিয়ার বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে এক ঝলকায় গোল করে দিলেন ওসমান ডেম্বেলে। সময়টা এতটাই অল্প ছিল যে, গ্যালারির অনেকেই তখনো বসে পাননি।
আক্রমণের শুরুটা বাঁ দিক থেকে। খভারাতসখেলিয়া নিজে কয়েকজন ডিফেন্ডার টপকে এগিয়ে গিয়ে বল বাড়ান বক্সে। সেখানে ছিলেন ডেম্বেলে, বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক ভলিতে গোলকিপার রায়াকে পরাস্ত করে এগিয়ে দেন পিএসজিকে।
আর্সেনাল এরপর গা ঝাড়া দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রাচীরের নাম ছিল—জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি, লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড, মিকেল মেরিনো—একাধিক শট, একাধিক সুযোগ, সবই ব্যর্থ হয়েছে এই ইতালিয়ানের হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এসে একসময় সমতায় ফেরার মতো মুহূর্ত এসেছিল গানার্সদের জন্য। ডেক্লান রাইসের দুর্দান্ত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান মেরিনো। এমিরেটসে তখন বিস্ফোরণ! কিন্তু মুহূর্ত পরেই আসে হতাশা—ভিএআর দেখিয়ে দেয় অফসাইড, গোল বাতিল।
শেষ দশ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আদায়ের সুযোগ ছিল পিএসজির। দুটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ব্র্যাডলি বারকোলার শটটি অল্পের জন্য বাইরে চলে যায় আর মারকিনিয়োসের অ্যাসিস্ট থেকে গনসালো রামোসের শট লাগে ক্রসবারে। গোল না হলেও আর্সেনালের রক্ষণের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল ফরাসি দলটি।
দ্বিতীয় লেগ হবে আগামী ৭ মে, বুধবার, ফ্রান্সের পার্ক দে প্রিন্সে। তার আগে লিগ ওয়ানে শনিবার স্টার্সবর্গের মুখোমুখি হবে পিএসজি, তবে শিরোপা আগেই নিশ্চিত করেছে তারা। আর আর্সেনাল খেলবে বোর্নমাউথের বিপক্ষে, যেখানে শিরোপা ইতোমধ্যে লিভারপুলের হাতে চলে গেছে।
পিএসজির এমন জয় অবশ্য ঠিক চমক নয়। তবে লড়াই এখনো বাকি, দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে আর্সেনাল। কিন্তু পার্ক দে প্রিন্সের আতঙ্ক, দোন্নারুম্মার ফর্ম আর পিএসজির আত্মবিশ্বাস—সব মিলিয়ে তাদের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়।
ফাইনালের গন্ধ কি প্যারিসেই পৌঁছে গেল? নাকি লন্ডন থেকে ফিরে আসবে বিদ্রোহ? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র এক সপ্তাহ!
আপনি চাইলে ফাইনালের সম্ভাব্য মুখোমুখি লড়াই নিয়েও আমি বিশ্লেষণ করে দিতে পারি। আগ্রহ আছে?