cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
গাজায় ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে অনুষ্ঠিত তৌহিদী জনতার মিছিলে মিশে পড়া কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীসহ অন্তত ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে নগরীর অন্তত ১৩টি দোকান, হোটেল ও সুপারশপ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের কিছু কর্মীসহ একদল ব্যক্তি বিক্ষোভ মিছিলে মিশে কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্ট, রয়াল মার্ক হোটেলসহ একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ১৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন– সিলেট শহরের কাজীটুলার রাজন (১৯), ইমন (১৯), রাকিব (১৯), মিজান আহমদ (৩০), আব্দুল মোতালেব (৩৫), সাব্বির আহমদ (১৯), জুনাইদ আহমদ (১৯), রবিন মিয়া (২০), মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দেলোয়ার হোসেন (৩০), রিয়াদ (২৪), তুহিন (২৪), আল নাফিউ (১৯) এবং সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯)।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, “বিক্ষোভে কিছু দুষ্কৃতকারী কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্টসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালায়। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছি।” তিনি আরও জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
রয়াল মার্ক হোটেলের ব্যবস্থাপক আবদুল মতিন সরকার জানান, তিন দফায় হোটেলে হামলা চালায় দেড় হাজারের মতো লোক। হামলায় হোটেলের ইন্টেরিয়র, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসিটিভি ক্যামেরা ধ্বংস হয়। বাইরে থেকে গুলতি দিয়ে ১৪ তলা ভবনের ৬ তলা পর্যন্ত কাচ ভেঙে ফেলা হয়। এতে হোটেলের ১৫–২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন এবং প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীদের বেশিরভাগই সুযোগসন্ধানী ও ভবঘুরে প্রকৃতির। কারও কারও রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তা যাচাই চলছে।
এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন এবং হামলার ঘটনার নিন্দা জানান। তারা বলেন, “এই হামলা শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, সিলেটের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকেই আঘাত করেছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।”
ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, জামায়াত, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফুটেজ দেখে আরও অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কারও নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় একাধিক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।