cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে “সাংবাদিকতায় মেধাস্বত্ত্বের চর্চা” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন SIBE-NIMC প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালায় সাংবাদিকতা, ডিজিটাল মিডিয়া, চলচ্চিত্র, সাউন্ড রেকর্ডিং এবং ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ত্বের (Intellectual Property Rights) গুরুত্ব ও প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন কপিরাইট অফিস বাংলাদেশের সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। তিনি কপিরাইট আইনের প্রয়োগ এবং মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কপিরাইট গবেষক তাসলিমা জাহান কপিরাইট আইন সংক্রান্ত আইনি দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং কিভাবে মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ করে সাংবাদিকতা ও ডিজিটাল মিডিয়ার বিকাশ ঘটানো যায় তা তুলে ধরেন।
কনসালটেন্ট মোহাম্মদ খাইরুল হাসান মেধাস্বত্ত্ব আইন ও বাণিজ্যের সম্পর্ক, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কপিরাইট লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI)চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে মেধাস্বত্ত্ব (Intellectual Property Rights) শুধু সাংবাদিকতা নয় বরং কৃষি, শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প-সংস্কৃতি এবং বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI)ব্যাপক ব্যবহার এবং প্রযুক্তির বিকাশের ফলে তথ্য ও সৃজনশীল কাজ সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। ফলে, কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি কমাতে এবং সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ। তিনি বলেন, “সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু সাংবাদিকদের সৃজনশীল কাজ সংরক্ষণের জন্য নয় বরং গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখার জন্যও অপরিহার্য।”
প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম। তিনি বলেন, “মেধাস্বত্ত্ব আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সৃজনশীল ও সাংবাদিকতা খাত আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। বর্তমান যুগে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রসার ঘটছে, তাই কপিরাইট আইন সম্পর্কে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।”
কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা আশা করছেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের পেশাদাররা কপিরাইট আইন সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হয়ে কাজ করবেন এবং মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের বিকাশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।