cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিতেই চিটাগং কিংসের অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছিলেন উসমান খান। পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যানের ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে দুর্বার রাজশাহী লক্ষ্য পেয়েছিল ২২০ রানের। তবে লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে সামান্য লড়াইটাও করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়রা। এমনকি পুরো রাজশাহীর ১১ জন মিলে উসমান খানের একার ১২৩ রানই করতে পারেনি।
১৭ বল বাকি থাকতেই ১১৪ রানে গুটিয়ে গেল দুর্বার রাজশাহী, চিটাগং জিতল ১০৫ রানে। রানের হিসেবে এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয়টা দিয়েই নিজেদের নামের পাশে ২ পয়েন্ট যোগ করল চিটাগং কিংস।
২২০ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই চাপে পড়ে যায় দুর্বার রাজশাহী। ওপেনার সাব্বির হোসেন (৮ রান) ইনিংসের প্রথম ওভারেই শরীফুল ইসলামের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিসকে নিয়ে ইনিংসের ভিত গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে এক প্রান্তে হারিস মারকুটে মেজাজে খেললেও অধিনায়ক বিজয় কাঙ্ক্ষিত সঙ্গ দিতে পারছিলেন না। প্রথম ৪ ওভারে হারিসের ২ চার ২ ছক্কায় চিটাগংয়ে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান। তবে ৮ বলে ৮ রান করে ওয়ানডে মেজাজে খেলা বিজয় পঞ্চম ওভারেই আরাফাত সানির স্পিনে আটকা পড়েন। মিড অফের ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে চেয়েছিলেন বিজয়, তবে পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরতে হলো তাঁকে।
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে রাজশাহীর অধিনায়ক ফিরে গেলেও আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন হারিস। বিজয় না পারলেও আরাফাত সানিকে স্কয়ার লেগ দিয়ে বিশাল এক ছয় মেরে দলীয় পঞ্চাশ রান পার করেন হারিস।
তবে ইনিংসের শুরু থেকেই ওভারপ্রতি ১১ রান তোলার সমীকরণের ম্যাচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের কাছে পরাস্ত হন ছন্দে থাকা হারিস। ওয়াসিমের গুড লেন্থের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি হারিস। তবে ওয়াসিম সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করেন ক্যাচ আউটের, যা অনফিল্ড আম্পায়ার নাকচ করে দেন। কিন্তু রিভিউ নিতেই টিভি আম্পায়ার জানিয়ে দেন, ব্যাটে লেগেই উইকেটকিপারের কাছে গিয়েছে বল।
১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংসের সমাপ্তিতে রাজশাহীর ম্যাচ জয়ের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান সংগ্রহ করে বিজয়ের দল।
প্রথম ম্যাচে ৯৪ রান করা ইয়াসির রাব্বিই ছিলেন মাঝ ওভারে রাজশাহীর শেষ ভরসা। চতুর্থ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালান রাব্বি। তবে এই দুজনের ২০ বলে ৩১ রানের জুটি নবম ওভারেই থামিয়ে দেন আরাফাত সানি।
১২ বলে ১৮ রান করা আকবর আলীর বিদায়ে ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজশাহী। দলীয় এক শ রান পার করার আগেই ইয়াসির রাব্বি-রায়ান বার্লও ফিরে গেলে রাজশাহীর হার হয়ে পড়ে স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
দলীয় ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারানো রাজশাহী শেষ পর্যন্ত এক শ পার করেছে ঠিকই, তাতেও হারের ব্যবধান ১০০-র নিচে নামেনি। চিটাগংয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি।
এর আগে উসমান খানের ৬২ বলে ১২৩ রানের ইনিংসে ভর করে ২১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চিটাগং। যা এবারের বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর চিটাগং কিংস: ২১৯ /৫ (উসমান ১২৩, ক্লার্ক ৪০; তাসকিন ২/২২, সোহাগ ১/২৮)।
দুর্বার রাজশাহী: ১১৪/১০ (হারিস ৩২, আকবর ১৮; আলিস ৩/১৭, আরাফাত ৩/২৩)।
ফল: চিটাগং কিংস ১০৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: উসমান খান।