cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সিলেটে গত মঙ্গল ও বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে আদালতে ১টি এবং মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে এই তিনটি মামলা করা হয়েছে।
ওই তিন মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, শফিউল আলম চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ২২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলা দুটির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া। তিনি জানান, নগরের নয়াসড়ক এলাকার বাসিন্দা মো. আক্কাছ আলী নামের এক ব্যক্তি ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে। এ ছাড়া নগরের ঝালোপাড়া এলাকার নিখিল চন্দ্র কর ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। তাঁর করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি ৫০ থেকে ৬০ জন।
নিখিল চন্দ্র করের মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন, ৫ আগস্ট বেলা দুইটা থেকে বিকেল চারটার মধ্যে নগরের কিনব্রিজ এলাকার আলী আমজাদের ঘড়ির পাশে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁকে মারধর করে গুরুতর জখম করেন। এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও ইমরান আহমদ চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান।
এ ছাড়া নিখিল চন্দ্রের মামলায় সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান, আজাদুর রহমান ও তাকবিরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। এর বাইরে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, দক্ষিণ সুরমা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সামছুল ইসলাম মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আক্কাছ আলীর করা মামলায় সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদকে প্রধান আসামি করেছেন। এই মামলার অপর আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান, সিলেট মহানগর প্রজন্ম লীগের সভাপতি এস এম আলী হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল বাছিত ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম ও দ্রুত বিচার আদালতে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। কুমিল্লার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলা করেছেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে। এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী, যুবলীগের নেতা আলম খান প্রমুখ। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট সিলেট নগরের বন্দরবাজার মধুবন মার্কেটের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তিনিসহ একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সূত্র : প্রথম আলো